নয়াদিল্লি: লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনার মাঝেই উত্তরাখণ্ড সীমান্তে বাড়ল লাল ফৌজের তৎপরতা। সূত্রের খবর, সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের বাড়াহোতি এলাকায় চিন সেনার সক্রিয়তা নজরে এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য অনুযায়ী, এই এলাকায় টহল দিতে দেখা দিয়েছে চিন সেনার জনা চল্লিশের একটি দলকে৷ যা দেখে চিন্তার ভাঁজ দিল্লির কপালে৷ অন্যদিকে পিএলএ-র এই সক্রিয়তা দেখে নড়েচড়ে বসেছে ভারতীয় সেনাও৷
আরও পড়ুন- আজ থেকে Mastercard- এর উপর জারি নয়া নিষেধাজ্ঞা, চিন্তায় গ্রাহকরা
গত ছয় মাসে উত্তরাখণ্ড সীমান্তে লাল ফৌজের গতিবিধি সে ভাবে নজরে না এলেও, অতিসম্প্রতি বাড়াহোতির কাছে অবস্থিত চিনা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ড্রোন ও হেলিকপ্টারের আনাগোনা বেড়েছে৷ আর এই সক্রিয়তা দেখেই উদ্বেগে নয়াদিল্লি৷ যদিও গত বছর মে মাসে লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ার পরেই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনে উত্তরাখণ্ড সীমান্তেও সেনা মোতায়েন বাড়ানো হয়েছিল৷ চিনা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ার পরেই বাড়তি সতর্ক ভারতীয় সেনা৷
আরও পড়ুন- অন্য রাজ্যে খেলা হলে দেশেরই মঙ্গল, লখনউয়ে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার সুখেন্দু শেখরের
প্রসঙ্গত এর আগে একাধিকবার বাড়াহোতি এলাকাকে চিনের অংশ বালে দাবি করেছে বেজিং৷ ফলে এই অংশের উপর নজর রয়েছে লাল ফৌজের৷ দিন কয়েক আগেই সেন্ট্রাল সেক্টরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে এসেছেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত এবং সেন্ট্রাল আর্মি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল৷ এই সেন্ট্রাল সেক্টরের মধ্যেই পড়ে বাড়াহোতি সীমান্ত৷ বাড়াহোতিতে যাতে গালওয়ানের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেদিকেও নজর রেখেছেন ভারতীয় সেনা৷ উল্লেখ্য, গত ১৫ বছর জুন রক্ত ঝরেছিল লাদাখ সীমান্তের গালওয়ান উপত্যকায়৷ চিন সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছিলেন ২০ জন ভারতীয় সেনা৷