কলকাতা: স্থলভাগের উপর আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় যশ৷ নবান্নের কন্ট্রোলরুমে রয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেখান থেকেই পরিস্থিতির হালহকিকত জানালেন তিনি৷
আরও পড়ুন- শহর কলকাতা জুড়ে যশ সতর্কতা, বন্ধ একাধিক উড়ালপুল-বিমানবন্দর
মুখ্যমন্ত্রী জানান, শঙ্করপুর, দীঘা, মন্দারমনি থেকে সাগর-গোসাবা ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ বিভিন্ন জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে৷ তবে এখনও পর্যন্ত ১৫ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো সম্ভব হয়েছে৷ তিনি জানান, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, কলকাতা, হুগলী ও নদীয়ার উপর দিয়ে ৭৫ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড় বয়ে যাবে৷ উপকূলবর্তী এলাকায় ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ১৩০ কিলোমিটার৷
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, নীচু এলাকাগুলি ইতিমধ্যেই প্লাবিত৷ বহু বাঁধ ভেঙে গিয়েছে৷ দক্ষিণ ২৪ পরগণার নামথানা, পাথরপ্রতিমা, সাগর, কাকদ্বীপ, বাসন্তী, কুলতলী, কুলপী প্রভৃতি জায়গা প্রবল ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত৷ বিদ্যাধরী নদীর জল ঢুকে পড়েছে গোসাবার গ্রামে৷ পূর্ব মেদিনীপুরে ৫১টি বাঁধ ভেঙে পড়েছে৷ দীঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর ক্ষতিগ্রস্ত৷ নন্দীগ্রামও প্লাবিত৷ এখনও পর্যন্ত দেড় লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দীঘা থেকে৷ এখনও সরানোর কাজ চলছে৷ মেদিনীপুরে মোট ৩.৮ লক্ষ মানুষকে সরানো হয়েছে৷
তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত ২০ হাজার ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ বিভিন্ন জায়গায় জল জমতে শুরু করেছে৷ এদিকে, কলকাতায় ট্রাফিক নিরাপত্তার জন্য ফ্লাইওভার বন্ধ করে রাখা হয়েছে৷ তবে এখনও পর্যন্ত কলকাতায় জল ও বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়নি বলেই জানান তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ভরা কোটালের জন্য বিপর্যয় বাড়তে পারে৷ পরিস্থিতির উপর ক্রমাগত নজরদারি চলানো হচ্ছে৷ ভরা কোটালের জন্য বহু এলাকা ডুবে যাচ্ছে৷