চন্দননগর: আলোর শহর চন্দননগর৷ এই শহরের আলোর কদর দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছে বিদেশেও৷ প্রতিবছর জগদ্ধাত্রী পুজোয় আলোর সাজে সেজে ওঠে একদা ফরাসি উপনিবেশ৷ রাতের শহরে নামে আলোর স্রোত৷ এই শহরের জগদ্ধাত্রী পুজোর খ্যাতি জগৎজোড়া৷ কিন্তু, নবমীর রাত পোহালে আলোর শহরেই নামবে আঁধার৷ এবছরও দশমীর দিন বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন থাকবে দীর্ঘ সময়ের জন্য৷
আরও পড়ুন- রাজনীতির জন্য তড়িঘড়ি ব্রিজ খোলা হয়েছিল! তোপ দাগলেও মোদীকে নিয়ে ‘চুপ’ মমতা
মূলত গলিপথ থেকে উঁচু উঁচু মাতৃ প্রতিমা নির্বিঘ্নে বার করে আনতেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ নীচু দিয়ে যাওয়ায় অনেক সময় তার কেটে প্রতিমা গাড়িতে তুলতে হয়৷ সেই কারণেই কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ বিদ্যুৎ অফিস৷ এই প্রতিমাগুলি দিনেই নিরঞ্জন হয়ে যায়৷ এগুলি রাতের শোভাযাত্রায় সামিল হয় না৷ দিনে বিসর্জনের এই প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে প্রতিবারের মতো এবারও দশমীর দিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকবে চন্দননগরে৷ তবে রাতে নয়, বিদ্যুৎ যাবে দিনের বেলা৷ সকাল দশটা থেকে সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন থাকবে বলে জানানো হয়েছে৷ গত শুক্রবার চন্দননগরের জ্যোতিরিন্দ্র সভাগৃহে জেলা প্রশাসন ও বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সখানেই এ কথা জানান তিনি৷
বিদ্যুতের পাশাপাশি এদিন বন্ধ হয়ে যায় জল সরাবরাহও৷ সন্ধ্যের ৬টার পর বিদ্যুৎ আসার পরই জল আসে কর্পোরেশনের কলে৷ ফলে দিন ভর কিছুটা হলেও নাকাল হতে হয় চন্দননগরবাসীকে৷ একসঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় আলো আর জল৷ দিনের বেলা শহরের আলোর শহরের আলো নিভলেও, রাতে কোনও সমস্যা থাকবে না৷ দশমীর দিন সারা রাত জাগবে শহরবাসী৷ শুধু চন্দননগরের মানুষই নন, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এদিন প্রসেশন দেখতে ভিড় জমান লাখো মানুষ৷
উল্লেখ্য, গত বছর প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল চন্দননগরে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করা হবে৷ যাতে দশমীতে বিদ্যুৎ পরিষেবা নিরবিচ্ছিন্ন থাকতে পারে৷ ভূগর্ভস্থ কেবল বসানোর কাজ শেষ হয়ে যাবে। এই কাজের জন্য ১০৫ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে রাজ্য সরকার। এদিন বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান, ডিসেম্বরের শেষ, অথবা জানুয়ারির গোড়ার দিকে এই কাজ শুরু হবে। আগামী বছর আর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকবে না দশমীর চন্দননগর।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>