চার সদস্যের আবেদন খারিজ, যেতেই হবে CBI দফতরে, নির্দেশ হাই কোর্টের

চার সদস্যের আবেদন খারিজ, যেতেই হবে CBI দফতরে, নির্দেশ হাই কোর্টের

d4e3bf00e0250202271f74484ad43aec

কলকাতা: স্কুলে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসি’র উপদেষ্টা কমিটির চার সদস্যকে মঙ্গলবার দুপুরেই সিবিআইয়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চ। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের দ্বারস্থ হন চার সদস্য সুকান্ত আচার্য, প্রবীর কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, অলককুমার সরকার এবং টি পাঁজা। দুপুর ১টা নাগাদ তাঁদের আসার জন্য সময় দেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব।

আরও পড়ুন- ‘এটা কোন দেশের জাতীয় পতাকা?’, মুহূর্তেই চিনিয়ে দিতে পারে এই বিস্ময় শিশু

হাই কোর্টের নির্দেশ, কমিটির দুই সদস্য সুকান্ত আচার্য এবং প্রবীরকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুপুর ২টোর মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে নিয়ে যেতে হবে। এই বিষয়টি নিশ্চিত করবে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট৷ অন্যদিকে, দুপুর ৩টের মধ্যে সিবিআই-এর সামনে হাজিরা দিতে হবে কমিটির বাকি দুই সদস্য অলোককুমার সরকার এবং তাপস পাঁজাকে৷ তাঁদের সেখানে নিয়ে যাবেন কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সেন্ট্রাল)।

স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টি দেখার জন্য একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করেছিল রাজ্য সরকার। ওই কমিটির আহ্বায়ক শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে আদালতের নির্দেশে গত শুক্রবার রাত ১১টার সময় জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। বাকি চার সদস্যকেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে যেতে বলা হয়। কিন্তু তাঁরা হাজির দেননি। তাঁদের যুক্ত ছিল, একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে৷ সোমবার সেই মামলা শুনবে ডিভিশন বেঞ্চ৷ তাই এখনই তাঁরা হাজারা দেবেন না৷ 

সোমবার এই বিষয়টি নিয়েই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এই মামলায় ডিভিশন বেঞ্চ এখনও কোনও নির্দেশ দেয়নি৷ তাই সিঙ্গেন বেঞ্চের নির্দেশ মেনে ওই চার জনের উচিত ছিল সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়া৷ কিন্তু, তাঁরা সেটা করেননি৷ তাই মঙ্গলবারই তাঁদের সিবিআই দফতরে যেতে হবে৷ আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সিবিআইয়ের রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।

সেই সঙ্গে শিক্ষা দাফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এবং সিবিআই ডিরেক্টর ও বিধান নগর পুলিশ কমিশনারকে মামলার কপি পাঠানোর নির্দেশ বিচারপতির৷ 

এদিকে উপদেষ্টা কমিটির পাঁচ সদস্যের মৌখিক আবেদন ছিল সিবিআই তলব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক৷ রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের আবেদন, অবিলম্বে একটি বেঞ্চ গঠন করে দিন। বিচারপতি ট্যান্ডন ব্যক্তিগত কারণে এই মামলা থেকে সড়ে দিয়েছেন।