বাঁকুড়া: এখনও তিন বছর বয়স হয়নি৷ ঠিক করে কথাও বলতে পারে না সে৷ তবু কচি কন্ঠে অনর্গল ইংরেজি শব্দের বাংলা অর্থ বলে চলেছে খুদে৷ স্বভাবতই, বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত গ্রামে এহেন বিস্ময় শিশুকে দেখতে বাড়ছে ভিড়৷
গল্পটা এই রকম: বয়স মাত্র ২ বছর ৯ মাস। এই বয়সেই তালডাংরার সাবড়াকোনের মামড়া গ্রামের তিয়াস দত্ত একশোটির বেশি ইংরাজি শব্দের বাংলা অর্থ একলহমায় বলে দিতে পারে। আর এখানেই শেষ নয় দশটির বেশী দেশের জাতীয় পতাকা চিনে ফেলার ক্ষমতাও রাখে সে। পাশাপাশি যেকোনও বিষয় একবার শুনেই মনে রাখতে পারে বলে পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে।
ছোট্ট তিয়াসের বাবা অভিজিৎ দত্ত একটি বেসরকারী সংস্থায় কর্মরত। মা রুপা দত্ত গৃহবধূ। বাঁকুড়ার মামড়া গ্রামের বাড়িতে বসে মা রুপা দত্ত বলেন, ‘‘২ বছর ৬ মাস পর্যন্ত ছেলে কথা বলত না। এনিয়ে আমাদের দু:চিন্তার শেষ ছিল না৷ তারপর ২ বছর ৭ মাস বয়স থেকে কথা বলা শুরু। এখনও পর্যন্ত মাত্র দু’মাসে একশোর বেশী ইংরাজি শব্দের বাংলা অর্থ সে শিখে ফেলেছে৷ যা দেখে আমরাও অবাক হয়ে যাচ্ছি৷’’
প্রত্যন্ত গ্রামের এই বিস্ময় বালককে ঘিরে এলাকাবাসীরও বিস্ময়ের শেষ নেই। অনেকেই দত্ত বাড়িতে ছুটে আসছেন এই ক্ষুদে প্রতিভাকে একবার চোখের দেখা দেখতে। প্রত্যেকেই বিস্মিত এই বিস্ময় বালককে দেখে। গ্রামবাসীদের কারও কারও মতে, তিয়াসের স্মৃতি শক্ত প্রখর৷ তাই এটা সম্ভব হয়েছে৷ কারও কারও মতে, নিশ্চয় কোনও দৈবিক শক্তি রয়েছে৷ তা না হলে দুধের শিশুর এত মেধা হয় কি করে৷