দিনহাটা: বাংলার ভোটের লড়াই চলছে জোরকদমে৷ গতকাল বাংলা তো বটেই গোটা দেশের নজর ছিল নন্দীগ্রানের দিকে৷ যেখানে সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী৷ নিজের জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু তাঁর প্রার্থীরা না জিতলে সরকার গড়বেন কী ভাবে? এবার সেই আশঙ্কাই যেন ফুটে এল তাঁর গলায়৷
আরও পড়ুন- কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোট প্রভাবিত করছে! ভুরিভুরি অভিযোগ নিয়ে কমিশনে তৃণমূল
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি থাকলে উন্নয়নও হবে৷ তাই আমার ২০০-র বেশি আসন চাই৷ ২০০-র কম আসন হলে বিজেপি টাকা দিয়ে গদ্দারদের কিনে নেবে৷ যেভাবে কিছু গদ্দারকে টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছে৷ তাই সরকার চালাতে হলে, বিনা পয়সায় রেশন, পাঁচ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, রূপশ্রী, দ্বাদশের ছেলেমেয়েদের স্মার্ট ফোন দিতে হলে তৃণমূলের প্রত্যেকটা প্রার্থীকে ভোট দিতে হবে৷’’ তাঁর কথায়, ‘‘প্রার্থী কে ভুলে যান৷ ২৯১টি আসনে আমিই প্রার্থী৷ কারণ আমিই সরকার তৈরি করব৷ উন্নয়নও আমিই দেখব৷ মা-বোনেদের দাঁড় করানোর দায়িত্ব আমার৷ কৃষক-শ্রমিক কেউ অভুক্ত থাকবে না৷ দারিদ্রতা বলে বংলায় কিছু থাকবে না’’
আরও পড়ুন- আমি নন্দীগ্রাম থেকেই জিতব আর আপনার মুখে চুনকালি ফেলব, মোদীকে হুঁশিয়ারি মমতার
তাঁর কথায়, ‘‘আমি তো জিতবই৷ কিন্তু একা জিতলে হবে না৷ আমার সঙ্গে আমরা প্রার্থীরা না জিতলে সংখ্যাটা বাড়বে না৷ ২০০-র বেশি আসন না পেলে সরকার কী ভাবে তৈরি করব? আমি সরকার না গড়লে আপনারও কেউ কিচ্ছু পাবেন না৷’’ তিনি আরও জানান, এবার তফশিলি বন্ধু শুরু করা হবে৷ বিধবারা ভাতা পাবেন, কৃষক ভাতাও বাড়ানো হয়েছে৷
তবে এদিন নরেন্দ্র মোদীকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন, নন্দীগ্রামে আমি জিতবই৷ আর জিতে আপনাদের মুখে চুনকালি ফেলব৷ আপনি আমাকে উপদেশ দেবেন না৷ আপনি নিজের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সামলান৷