পটাশপুর: এবার প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য বরাদ্দ চাল চুরির অভিযোগে গ্রেফতার হলেন বিজেপির রাজ্য কিষান মোর্চার সদস্য৷ তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের সেলমাবাদ প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকও৷ রবিবার ধৃত বিজেপি নেতা মোহনলাল সিকে কাঁথি মহকুমা আদালতে হাজির করা হলে জামিন নাকচ করে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক৷ ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়৷
আরও পড়ুন- জলের তলায় তৈলখনি, মাথায় হাত ONGC কর্তাদের
বিজেপির দাবি, শাসকদল প্রতিহিংসা করছে৷ অন্যদিকে কাঁথি পুরসভার ত্রিপল চুরির কাণ্ডে শুভেন্দুর নাম থাকার প্রসঙ্গ টেনে কটাক্ষের সুরে শাসকদলের টিপ্পনি, ‘‘দলটাই চোরেদের দল৷’’ পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ ঘটনার তদন্ত চলছে৷
ঘটনার সূত্রপাত, মিড ডে মিলের চালকে কেন্দ্র করে৷ অভিযুক্ত বিজেপি নেতা সেলমাবাদ প্রাথমিক স্কুলে প্রধান শিক্ষক৷ দীর্ঘদিন ধরে তাঁর স্কুলের শিশুদের মিড ডে মিলের চাল দেওয়া হচ্ছিল না বলে অভিযোগ। এনিয়ে সোচ্চার হয় এলাকায় কয়েক’শ অভিভাবকরা। গত ১৮জুন স্কুলের এক ছাত্রের বাবা প্রবীর মান্না পটাশপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের মিড ডে মিলের চাল দেওয়া হচ্ছে না। এনিয়ে প্রধান শিক্ষককে জানালে তিনি জানান রাজ্য সরকার কোনও চাল দিচ্ছে না। তাই আমরা শিশুদের চাল দিতে পারছি না। অথচ খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারি, পাশের স্কুলগুলো মিড ডে মিলের চাল দিচ্ছে। তারপরেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি৷’’
এমন গুরুতর অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে পটাশপুর থানার পুলিশ। অভিযান চালালে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা এলাকাছাড়া আত্মগোপন করে বলে পুলিশের দাবি। শনিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পটাশপুর থানার পুলিশ বাড়ি থেকে অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪০৯, ৩৭৯, ৫০৬ সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
যদিও বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘তৃণমূল একটি কাটমানি ও চরিত্রহীন দল। মিথ্যা মামলায় বিজেপি নেতাদের ফাঁসাচ্ছে। আগে কাটমানি খেত, এখন মানুষের রক্ত চুষে খাচ্ছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে বিজেপিকে রুখে দেওয়া যাবে না।’’ পাল্টা হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসের পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিক বলেন, ‘‘লজ্জা করে না, চাল চুরি করতে৷ আইন আইনের পথে চলবে। দোষ করলে যে হোক না কেন শাস্তি পাবেই৷’’