সাড়ে ১২ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলেই কোটিপতি! নেপথ্যে এই সরকারি প্রকল্প

সাড়ে ১২ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলেই কোটিপতি! নেপথ্যে এই সরকারি প্রকল্প

imagesmissing

 কলকাতা: বাড়ির গুরুজনেরা হামেশাই বলে থাকেন খরচের আগে সঞ্চয় করা উচিত৷ এহেন পরামর্শ দিতে শোনা গিয়েছে বিশ্বের তাবড় তাবড় শিল্পপতিকেও৷ বাজারে বিনিয়োগের সুযোগও এখন ভুরি ভুরি৷ মিউচুয়াল ফান্ড হোক বা ক্রিপ্টোকারেন্সি – বিনিয়োগের বাজারে বিকল্পের ছড়াছড়ি! তবে এই সকল বিকল্পের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আরও একটি বিষয়৷ আর তা হল ঝুঁকি।

আরও পড়ুন- সঞ্চয় করছেন, কিন্তু সঠিক রাস্তায় তো? এই পাঁচ অভ্যাস কিন্তু জরুরি

মিউচুয়াল ফান্ড বা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করার অর্থ বড়মাপের ঝুঁকি৷ এই ঝুঁকি এড়াতে বহু বিনিয়োগকারীই ছোট অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করে থাকেন। সেক্ষেত্রে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিপিএফ) হতে পারে তাঁদের কাছে তুরুপের তাস।

পিপিএফ একদিকে দীর্ঘমেয়াদি, অন্য দিকে ঝুঁকিহীন৷ তবে পিপিএফ–এ বিনিয়োগের আগে ফান্ডের সুদের হার, সর্বনিম্ন কত টাকা থেকে বিনিয়োগ শুরু, সর্বোচ্চ কত টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যাবে ইত্যাদি বিষয়গুলি দেখে নেওয়া উচিত।

পিপিএফ প্রকল্পের মেয়াদ সাধারণত ১৫ বছরের হয়ে থাকে। অর্থাৎ পিপিএফ অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ করলে ম্যাচ্যুরিটির টাকা পাওয়া যাবে ১৫ বছর পর৷ তবে বিনিয়োগকারী চাইলে আরও পাঁচ বছর মেয়াদ বাড়াতে পারেন। তবে পাঁচ বছরের নীচে অ্যাকাউন্ট চালানো যায় না। অতএব পাঁচ বছরের ব্লকে এই অ্যাকাউন্ট চালিয়ে যেতে হবে। ১৫ বছর পর পাঁচ বছরের প্রতিটি ব্লকে এক্সটেনশন করা যেতে পারে।

জনকল্যাণমূলক একাধিক প্রকল্প রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে পিপিএফ বা পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য৷  দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ পিপিএফ –এ বিনিয়োগ করছেন। সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের পাশাপাশি এই প্রকল্পে বিনিয়োগকারীরা আয়কর নিয়ম অনুযায়ী কর ছাড়ের সুবিধাও পান৷ পিপিএফ প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে আয়করের ৮০সি ধারায় সর্বোচ্চ দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পেতে পারেন একজন লগ্নিকারী।

এছাড়াও আরও কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পে৷ এক জন ব্যক্তি একটি মাত্র পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। প্রয়োজনে  পিপিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে আপনি লোন নিতে পারবেন। আপনার নাবালক-নাবালিকা সন্তানের জন্যেও এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।যে কোনও পোস্ট অফিস অথবা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে সেভিংস অ্যাকাউন্ট থাকলেই পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে। অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজন হবে প্যান কার্ড, আধার কার্ড এবং একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। সঙ্গে যে পরিমাণ অর্থ জমা করতে চাইছেন, সেই পরিমাণ অর্থ৷ অ্যাকাউন্ট খোলার দিনই তা জমা করতে হবে৷ 

ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে গিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলার পরিবর্তে এখন ব্যাঙ্কের মাধ্যমে অনলাইনে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলছেন অনেকেই। এই খাতে মাসে ৫০০ টাকার বেশি এবং সাড়ে ১২ হাজার টাকার কম বিনিয়োগ করতে হয়। বিনিয়োগের নির্দিষ্ট অঙ্ক নেই। তবে মাত্র সাড়ে ১২ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলেই কোটিপতি হতে পারবেন আপনি! কী ভাবে? দেখা যাক-

পিপিএফের নিয়ম অনুযায়ী, এক জন গ্রাহক এই প্রকল্পে বছরে সর্বোচ্চ দেড় লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন৷ আপনি যদি ২৫ বছর বয়স থেকে বিনিয়োগ শুরু করেন এবং বছরে দেড় লক্ষ টাকা করে জমা করেন, তাহলে ৫৫ বছর বয়সে অর্থাৎ অবসর জীবনের প্রায় পাঁচ বছর আগেই হাতে মোটা অঙ্কের টাকা পেয়ে যাবেন।