কলকাতা: বাপ্পি লাহিড়ির সফর বলিউডের এক মাইলস্টোন৷ বলিউডে এক নয়া অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল তাঁর হাত ধরে৷ ডিস্কো গানকে ভারতীয় আন্দাজে দর্শকদের সামনে তুলে ধরার প্রথম প্রয়াস ছিল তাঁরই৷ আর তাতে তিনি দারুণ ভাবে সফল৷ যাঁর জন্য সেরার সেরা তকমা পেয়েছিলেন সোনার ছেলে বাপ্পি৷
আরও পড়ুন- ‘বাপ্পি লাহিড়ি আমাদের উত্তরবঙ্গের ছেলে’, শিল্পীর প্রয়াণে শোকাহত মমতা
তাঁর সুরের ছন্দে থাকত প্রাণের উচ্ছ্বাস৷ এক গভীর অনুভূতি৷ তাঁর সুরে মোহিত হতেন শ্রোতারা৷ শ্রোতাদের শরীরে মিউজিক্যাল শিহোরণ জাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি৷ কখনও বিষাদের সুরে কাঁদিয়েছেন তিনি৷ ছোট থেকেই সুর, ছন্দের সঙ্গে তাঁর দিনযাপন৷ মাত্র ৩ বছর বয়সে তবলায় হাতেখড়ি৷ ছোট থেকেই সুর-তাল-ছন্দে ভরা ছিল তাঁর জীবন৷
মাত্র ১৯ বছর বয়সে বলিউডে পা রাখেন বাপ্পি লাহিড়ি৷ ১৯৭২ সালে প্রথম বাংলা ছবিতে কাজ৷ ১৯৭৩ সালে হিন্দি ছবি নানহা শিকারী ছবির জন্য প্রথম সুর দেন তিনি। তারপরের সফরটা ইতিহাস৷ এরপর তাহির হুসেনের জখমী (১৯৭৫) চলচ্চিত্রে কাজ করেন। পর পর দুই ছবিতেই তিনি সকলের নজর কেড়েছিলেন। ১৯৮০’র দশকে মিঠুন চক্রবর্তী এবং বাপ্পী লাহিড়ি একসঙ্গে বেশ কিছু ভারতীয় ডিস্কো চলচ্চিত্রে কাজ করেন। যে ভাবে তিনি ডিস্কো ড্যান্সে গান পরিবেশন করেছিলেন, তা বলিউডে মাইলস্টোন হয়ে থাকবে৷
লেজেন্ড মহম্মদ রফি ও তুতো মামা কিশোর কুমারের সঙ্গেও কাজ করার সুযোগ আসে তাঁর। বলিউডে নিজের জমি পাকা করে নেন তিনি৷ সারা দেশে তিনি পরিচিত ছিলেন ডিস্কো কিং হিসাবে। তবে ১৯৯০ সালেই ভারতীয় চলচ্চিত্র থেকে নিজেকে কিছুটা সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। মাঝে মধ্যে কাজ করেছিলেন। তাঁর অধিকাংশ ডিস্কো গানই আশা ভোঁসলে এবং কিশোর কুমারের গলায়। এছাড়াও আলিশা চিনয়, উষা উত্থপের সঙ্গেও তিনি বহু কাজ করেছেন।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>