দোলের উৎসবে মেজাজ হারিয়ে যুবকের গালে সপাটে চড়, বিতর্কে বাবুল

দোলের উৎসবে মেজাজ হারিয়ে যুবকের গালে সপাটে চড়, বিতর্কে বাবুল

5e8c7fe4e0d0902d256e46c9b4ec370e

কলকাতা:  ভোটের তপ্ত হাওয়ায় এবার বিতর্কে বাবুল৷ দোল উৎসবে দলীয় কার্যালয়ে যুবককে থাপ্পর মেরে বিতর্কে জড়ালেন টালিগঞ্জে বিজেপি’র তারকা প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়৷ এই ঘটনায় বাবুলের মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই গেরুয়া শিবিরকে পাল্টা খোঁচা তৃণমূলের৷ 

আরও পড়ুন-  BJP-র তারকা প্রার্থী তনুশ্রীর কাছে নেই কোনও স্থাবর সম্পত্তি, জানেন তাঁর অস্থাবর সম্পত্তি কত?

প্রসঙ্গত, রবিবার দোলে আয়োজিত উৎসবের মধ্যেই মেজাজ হারান বাবুল৷ দলীয় কার্যালয়ের মধ্যে এক যুবককে সপাটে চড় কষান বিজেপি প্রার্থী৷ দোল উপলক্ষে এদিন রানিকুঠিতে বিজেপি’র দলীয় কার্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল৷ স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়৷ তিনি দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলার সময় ভিড়ের মাঝে শোনা যায় এক যুবকের গলা৷ উনি বিজেপি প্রার্থীকে খোঁচা দিয়ে বলেন, ছবি তুলে কিছু হবে না৷ এখানে লড়তে হবে৷ সেই কথা শুনেই বাবুল তাঁকে বলেন, ‘ভাই তুমি চুপ থাকো৷ তুমি কি খুব বড় নেতা হয়েছ নাকি?’ কিন্তু এর পরেও ওই যুবক থামেনি৷ উল্টে বলেন, ‘সত্যি কথাই বলছি৷ ’

এর পরেই ওই যুবককে রানিকুঠির বিজেপি অফিসের ভিতরে নিয়ে যেতে দেখা যায় বাবুল সুপ্রিয়কে৷ সেখানে নিয়ে গিয়েই তাঁর গালে সপাটে চড় কষান তিনি৷ চড়ের আঘাতে ওই যুবকের চোখ থেকে সানগ্লাস খুলে পড়ে যায়৷ এর পর বাইরে বেরিয়ে এসে বাবুলের দাবি, অশান্তি বাঁধাতেই কিছু বহিরাগতকে পাঠিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল৷ তিনি আরও বলেন, ভিড়ের মধ্যে তৃণমূলী ছেলেদের ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ তাঁরাই গন্ডোগোল পাকানোর চেষ্টা করছে, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত৷ কিন্তু এখানেই থেমে থাকেননি বিজেপি প্রার্থী৷ বিতর্ক উস্কে বাবুল সুপ্রিয় আরও বলেন, ‘‘এর মধ্যে কিছু বিভীষণও আছে, মীরজাফরও আছে৷ কিছু লোককে চিহ্নিত করা গিয়েছে৷ কিছু লোককে চিহ্নিত করা যাচ্ছে না৷ তবে যাঁরা গন্ডোগোল পাকানোর চেষ্টা করছে, তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷’’ 

আরও পড়ুন- দক্ষিণবঙ্গে যে অঙ্কে বাজিমাত করতে চাইছে বিজেপি!

এদিকে এই ঘটনার পরেই বিজেপি’কে খোঁচা দিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, তৃণমূল বিজেপি’তে লোক ঢোকাতে যাবে কেন? বিজেপি’ই তো যোগদান মেলা করে দরজা খুলে এপাশ-ওপাশ থেকে লোক নিচ্ছে৷ যাঁরা যোগদান সভা করেন, তাঁদের আবার অন্য লোকের আসা নিয়ে আপত্তি কীসের? আসলে আদি বিজেপি বনাম আজকের বিজেপি’র লড়াই চলছে৷ বাবুলকে এই সব এলাকায় অর্ধেক লোক চাইছে না৷ তাঁর দলে যে ক্ষোভ-বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে, তার দায় অন্য দলের ঘাড়ে চাপাতে চাইছেন৷ এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই৷’’ তবে বাবুল চড় মারলেন কাকে? তৃণমূলের বহিরাগত, নাকি, বিজেপি’র বিভীষণকে? প্রশ্ন থেকেই গেল৷    

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *