নয়াদিল্লি: গরু পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলের বর্তমান ঠিকানা দিল্লি৷ মঙ্গলবার রাতে কলকাতা থেকে বিশেষ বিমানে তাঁকে নিয়ে দিল্লি নিয়ে যান ইডির আধিকারিকরা৷ বিচারক তাঁকে তিন দিন ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন৷ সেখানে জেরার মুখে কেষ্ট৷
আরও পড়ুন- ৪২৫ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার, গুজরাটে গ্রেফতার ৫
তদন্তে ইডি জানতে পেরেছে, মাত্র ৬ দিনে ছ’কোটি টাকার সম্পত্তি কিনেছিলেন বীরভূমে তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাও আবার সম্পূর্ণ নগদ অর্থে। কোথা থেকে এল এই বিপুল পরিমাণ টাকা? তিনি কোনও বড় শিল্পপতি নন, খাতায় কলমে সামান্য রাজনৈতিক কর্মী, এর পরেও এত বিপুল সম্পত্তির মালিক হলেন কীভাবে? এদিন বারবার এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয় বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির কাছে৷ কিন্তু, তিনি কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি বলেই ইডি সূত্রে খবর। অফিসারদের সামনে কেষ্টর দাবি, সবটাই অনেক দিনের পুরনো ঘটনা। তাই তিনি ঠিক মতো মনে করতে পারছেন না। তবে তাঁর মুখ থেকে সত্য বার করতে মরিয়া ইডির দুঁদে অফিসাররাও৷ লাগাতার জেরা করে চলেছেন তাঁরাও৷
ইডি সূত্রে খবর, ২০১৪ সালে ১০ থেকে ১৭ নভেম্বরের মধ্যে প্রচুর জমিজমা কেনেন তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা। যার অধিকাংশই ছিল বীরভূমের কালিকাপুর মৌজায়৷ ভোলেব্যোম রাইস মিলকে সামনে রেখেই এই জমি কিনেছিলেন তিনি। তবে বাজারমূল্যের চেয়ে ডিলে ওই জমির দাম অনেক কম দেখানো হয়৷ জানা যায়, ৬ দিনে ৬ কোটি নগদ টাকায় সমস্ত জমি কিনে ফেলেছিলেন অনুব্রত। জমির মালিকানা ছিল তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নামে। তবে অনুব্রতর নামেও প্রচুর সম্পত্তির হদিশ খুঁজে পেয়েছে ইডি। একটি রাজনৈতিক দলের জেলা সভাপতির কাছে কী ভাবে কোটে কোটি টাকার এল? এই টাকা কি তবে গরু পাচারের? উত্তর পেতে মরিয়া ইডি।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>