সিঙ্গুর: সিঙ্গুরে জমি আন্দোলনের আড়ালে লেখা হয়েছিল বঙ্গ রাজনীতির পট পরিবর্তনের ইতিহাস৷ বঙ্গে এসেছিল পরিবর্তনের জোয়ার৷ কিন্তু সিঙ্গুর থেকে গিয়েছে সিঙ্গুরেই৷ এখানে কোনও শিল্প আসেনি৷ তবে ভোটের মুখে সেই সিঙ্গুরে দাঁড়িয়েই শিল্পের প্রতিশ্রুতি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
আরও পড়ুন- বাংলার মানুষের সঙ্গে গদ্দারি! অমিত শাহের ইস্তফার দাবি অভিষেকের!
সিঙ্গুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বেচারাম মান্নার সমর্থনে এ দিন জনসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ওই সভাতেই তিনি বলেন, সিঙ্গুরের ভূমি আন্দোলনকে আমরা জয়ী করেছিলাম। সরকার কালো কৃষি বিল প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিল। সিঙ্গুরের মানুষের জয় হয়েছিল। সিঙ্গুর আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র। সেই সঙ্গে মাস্টারমশাইয়ের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, আপনি বাড়িতে থেকে সম্মান বাঁচান। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। আপনার দীর্ঘ জীবন কামনা করছি৷ তবে এবারের নির্বাচনটা বেচারামকে জেতানোর জন্য আশীর্বাদ করুন৷
মমতা বলেন, এক সময় এখানে সিপিএম অনেক অত্যাচার করেছে৷ তা সত্বেও আমরা সিঙ্গুরকে সিঙ্গুরের মতোই গড়তে চাই৷ আগামী দিন সিঙ্গুরে শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হবে৷ এখানে বড় শিল্প করার কথা আমদের পরিকল্পনায় রয়েছে৷ এখানে প্রথমে এগ্রো ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলা হবে৷ এর পর বড় শিল্পের দিকে আমরা এগোবো৷ তিনি আরও বলেন, ডানকুনি থেকে ডেডিকেটেড ফ্রেড করিডরের কাজ চলছে৷ যা অমৃতসর আর ডানকুনিকে সরাসরি যুক্ত করবে৷ রেলমন্ত্রী থাকার সময়েই এই কাজ করে দিয়ে গিয়েছিলাম৷ ডানকুনি, সিঙ্গুর, পাণ্ডুয়া, বলাগড়, পানাগড়, বর্ধমান, বড়জোয়ারা তারপর বাঁকুড়া হয়ে রঘুনাথপুরে গিয়ে মিশবে এই পথ৷ সেখানে ২৫ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প গড়ে তোলা হবে৷ জঙ্গলমহল শিল্পসুন্দরী অনুষ্ঠান হবে৷ আর এই রাস্তাগুলোর পাশ দিয়ে গড়ে উঠবে শিল্প৷
আরও পড়ুন- ‘BJP নেতাদের ফেরাবেন না’, হাত জোড় করে অনুরোধ অভিষেকের!
পাশাপাশি, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, কৃষক ভাতা, বিনা পয়সা সাইকেল, দ্বদশ শ্রেণির ছেলে মেয়েদের স্মার্টফোন সমস্ত কিছুই দেওয়া হবে বলে তাঁ আশ্বাস৷ তিনি বলেন, জল ধরো জল ভরো প্রকল্প থেকে মানুষ অনেক উপকৃত হচ্ছে৷ উন্নয়নের নানা কাজ করা হয়েছে৷ আগামীদিনে জিতলে আরও অনেক কাজ করা হবে৷