‘অনেকদিন তো হল, তাড়াতাড়ি চলে আয় বুনু’, আজও ঐন্দ্রিলার পথ চেয়ে দিদি ঐশ্বর্য

‘অনেকদিন তো হল, তাড়াতাড়ি চলে আয় বুনু’, আজও ঐন্দ্রিলার পথ চেয়ে দিদি ঐশ্বর্য

কলকাতা: তিনি চলে গিয়েছেন না ফেরার দেশে৷ যে দেশ থেকে আর কেউ কোনও দিন ফিরে আসে না৷ কিন্তু, এত যুক্তি-তক্ক কি আর মন মানে? ‘বুনু’-কে ছেড়ে যেন থমকে গিয়েছে দিদির জীবন৷ তাই তো বনুকে তাড়াতাড়ি ফিরে আসার কাতর আর্জি ঐন্দ্রিলা শর্মার দিদি ঐশ্বর্য শর্মার৷ ফেসবুকে লেখলেন, ‘‘অনেকদিন তো হল, এবার তাড়াতাড়ি চলে আয় বুনু।’’

আরও পড়ুন- বর-কনের সাজে বিজয়-রশ্মিকা, তবে কি চুপিসারে বিয়েটা সেরেই ফেললেন দু’জনে?

তিনি নিজে পেশায় চিকিৎসক। মৃত্যুর অর্থ তাঁর খুব ভালোভাবেই জানা৷ কিন্তু এভাবে তাঁকে একা ফেলে বোনের চলে যাওয়াটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না দিদি ঐশ্বর্য৷ ফেসবুকে বোনের সঙ্গে ছবি শেয়ার করে  লিখলেন, “অনেকদিন তো হল, এবার তাড়াতাড়ি চলে আই বুনু। তুই ছাড়া আমি যে পঙ্গু। কে আমাকে সাজিয়ে দেবে বলতো? কে আমার ছবি তুলে দেবে? কে না বলা মনের কথাগুলো আমার মুখ দেখে বুঝে যাবে? কে আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ এর মত আমার সমস্ত মনের ইচ্ছে পূরণ করবে? কার সাথে আমি ঘুরতে যাব? কার সাথে পার্টি করব? কার সাথে আমি সারারাত জেগে সিনেমা দেখবো গল্প করব? কে আমাকে সঠিক পরামর্শ দেবে? আমাদের এখনও কত প্ল্যান বাকি আছে বলতো? কে আমাকে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালবাসবে? কে আমার জন্য পুরো পৃথিবীর সাথে লড়বে, আমাকে আগলে রাখবে?”  

ঐশ্বর্য

তিনি আরও লেখেন, “আমার যে তুই ছাড়া আর কোনও বেস্ট ফ্রেন্ড নেই। তুই যে আমার জীবনীশক্তি। এই ২৪ বছর এ আমি যে নিজে থেকে কিছুই করতে শিখিনি বুনু। আমি জানি তুই সাবলম্বী, কিন্তু তোর দিদিভাই যে তোকে ছাড়া খুব অসহায়। তাড়াতাড়ি আমার কাছে চলে আই বুনু। অপেক্ষায় রইলাম।” 

দু-দু’বার ক্যান্সারকে হারিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছিলেন ঐন্দ্রিলা৷ ১ নভেম্বর আচমকা ব্রেন স্ট্রোক হয় তাঁর৷ অস্ত্রোপারের পর কিছুটা পরিস্থিতিতির উন্নতি হচ্ছিল৷ কিন্তু ফের পর পর হার্ট অ্যাটাক৷ সঙ্কটজনক হয়ে ওঠেন ঐন্দ্রিলা৷ চিকিৎসকরা সব রকম চেষ্টা চালিয়েছিলেন তাঁকে ফিরিয়ে আনার৷ পরিবারের প্রার্থনা, সব্যসাচীর নিখাদ ভালোবাসা, সবকিছু ব্যর্থ করে বিদাল নেন ঐন্দ্রিলা৷ তবে তিনি রয়ে যাবেন তাঁদের হৃদয়ে৷ ঐন্দ্রিলার কাছে শক্তি, সাহস, যুদ্ধ, জয়ের আর এক নাম হয়ে থাকবে তাঁর ‘বুনু’৷