কলকাতা: গত ১ নভেম্বর আচমকা ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা৷ এর পর থেকে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি৷ সতেরো দিন ধরে চলছে তাঁর লড়াই৷ এরই মাঝে বুধবার হৃদরোগে আক্রান্ত হন অভিনেত্রী৷ তার পর থেকেই অবস্থার অবনতি হতে থাকে৷ অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় ভেন্টিলেশনে রয়েছেন ঐন্দ্রিলা৷ সকলের একটাই প্রার্থনা এবারেও যেন তিনি ফিনিক্স পাখির মতো ফিরে আসেন। ফাইট করছেন ঐন্দ্রিলাও৷ কিন্তু সব কিছুর মাঝেই একটি চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে হাসপাতালের বিল৷
আরও পড়ুন- নড়ছে না চোখের পাতা, শরীর পুরো অসাড়, ঐন্দ্রিলাকে দেখে গেলেন অন্য হাসপাতালের চিকিৎসকরা
এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অভিনেতা অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর পোস্টে ঐন্দ্রিলার ভক্তরা জানিয়েছেন, প্রয়োজনে তাঁরাও সাহায্য করতে রাজি৷ শুধু তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসুক। চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন ঐন্দ্রিলাকে সুস্থ করে তোলার জন্যে।
ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার পর ঐন্দ্রিলার একটি অপারেশন করা হয়। এর পর আইসিইউতে ভেন্টিলেশনে রাখা হয় অভিনেত্রীকে। চিকিৎসকরা চেষ্টার কোনও ত্রুটি রখছেন না৷ এরই মাঝে জানা যাচ্ছে, ঐন্দ্রিলার চিকিৎসায় দৈনিক হাসপাতালের খরচ প্রায় ৩০ হাজার টাকা৷ এছাড়াও রয়েছে ওষুধ, চিকিৎসকের ফিজ প্রভৃতি৷ ফলে দৈনিক খরচটা সহজেই অনুমেয়৷
এ প্রসঙ্গে হাসপাতালের এক আধিকারিক জানান, ঐন্দ্রিলা তাঁদের হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসা করাতেন৷ তিনি এই হাসপাতালেরই পেশেন্ট৷ তাই ম্যানেজমেন্ট গোটা বিষয়টা দেখছে। তবে শুধু ঐন্দ্রিলার জন্যই নয়, অন্যান্য রোগীদের ক্ষেত্রেও একই জিনিস করা হয় বলে জানান তিনি। তবে এই ১৭দিনে ঐন্দ্রিলার চিকিৎসায় কত খরচ হয়েছে সে প্রসঙ্গে তিনি কিছুই জানাননি। তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই প্রায় ১০ লক্ষ টাকার বিল হয়ে গিয়েছে। অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পোস্টে এই বিষয়টি নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করে লিখেছিলেন, অভিনেত্রীর জন্য প্রার্থনা করার পাশাপাশি, অর্থ সাহায্য জরুরি কিনা সেটাও দেখা উচিত সকলের। যদিও ঐন্দ্রিলার পরিবারের তরফে কোনও অর্থ সাহায্য চাওয়া হয়নি৷ ঐন্দ্রিার বাবা নিজেও একজন চিকিৎসক৷ মা-ও মোডিক্যালের সঙ্গেই যুক্ত৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>