কলকাতা: উদ্বেগ বাড়িয়ে ফের উর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ। চিনের পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়াতেও হু হু করে বাড়তে শুরু আক্রান্তের সংখ্যা৷ এরই মধ্যে চিন্তা বাড়াল আন্তর্জাতিক মেডিক্যাল জার্নাল মেড আর্কাইভে প্রকাশিত সমীক্ষা রিপোর্ট। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল ও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজি যৌথভাবে করোনা পরবর্তী সিনড্রোম নিয়ে সমীক্ষা চালানো হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, করোনা পরবর্তী সময়ে নানা সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে আক্রান্ত রোগীদের৷
আরও পড়ুন- অটোচালক থেকে মেয়র! শপথ নিতে এলেন অটো চালিয়েই, সরবাননের জীবন যেন চিত্রনাট্য
রিপোর্ট বলছে, করোনা মুক্তির পর তিনমাস পর্যন্ত বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে, শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা, ক্লান্তি, অনিদ্রা-র মতো বিষয়গুলি লক্ষ্য করা গিয়েছে৷ রিপোর্টে উঠে এসেছে আরও ভয়ঙ্কর তথ্য৷ সেখানে বলা হয়েছে, সুস্থ হয়ে ওঠার ৩৯ দিন পরেও আক্রান্তর মৃত্যু হয়েছে। এক্ষেত্রে মৃত্যুর হার ৩.৬৫ শতাংশ। এছাড়াও, ২০-৪০ বছর বয়সি করোনা আক্রান্তদের মধ্যে যাঁদের হাইপারটেনশন বা ডায়াবিটিসের সমস্যা রয়েছে, তাঁদেরই আইসিইউ-তে ভর্তি হতে হয়েছে। এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে আন্তর্জাতিক মেডিক্যাল জার্নাল মেড আর্কাইভে প্রকাশিত সমীক্ষা রিপোর্টে৷
এদিকে করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের তরফে পাঁচটি পন্থার উপর জোড় দিতে বলা হয়েছে৷ এই মর্মে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কেন্দ্রের তরফে চিঠিও পাঠানো হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিবের পাঠানো এই চিঠিতে সতর্ক করে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়া ও ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে ফের করোনার উপদ্রব বাড়তে শুরু করেছে। সেই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের নির্দেশ, প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরীক্ষা, অনুসন্ধান, চিকিৎসা, টিকাকরণ ও কোভিড বিধি পালনে জোর দিতে হবে। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে গুরুত্ব দিয়ে নির্দিষ্ট ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার পরিমাণ বাড়াতে হবে। সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণের পাশাপাশি ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের দ্রুত প্রিকশন ডোজ দিতে হবে। গত ১৬ মার্চ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। ওই বৈঠকের পরেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়৷
এদিক, গতকালের তুলনায় সামান্য কমেছে দৈনিক মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭৫ জন। শুক্রবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৫২৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৭১ জনের। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৪৯।