কলকাতা: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দিশেহারা গোটা দেশ৷ রাজ্যের অবস্থাও উদ্বেগজনক৷ বাড়ছে মৃত্যু মিছিল৷ হাতে নেই পর্যাপ্ত টিকা৷ তার উপর আরও বেশি করে সমস্যার কারণ হয়ে উঠেছে অক্সিজেনের অভাব৷ এই অবস্থায় রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার আবেদন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী৷ এবার সাংসদ তহবিলের টাকা থেকে অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরির জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠালেন তিনি৷
আরও পড়ুন- ৩০ হাজার কোটি কেন্দ্রের কাছে তুচ্ছ, সারা দেশে সামগ্রিক টিকাকরণ হোক, দাবি মমতার
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জানান, ‘‘সাংসদ তহবিলের টাকা থেকে বহরমপুর হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্টের পাশাপাশি দুটি কোভিড স্পেশ্যাল অ্যাম্বুলেন্স দিতে চেয়েছি৷ টাকা আমার কাছে আছে৷ প্রশাসন চাইলে সেই টাকা দেওয়া যেতে পারে৷’’ সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান, ‘‘গত দুই বছর ধরে কোভিডের কারণে সাংসদ তহবিলের টাকা বন্ধ৷ কিন্তু সাংসদ তহবিলের পুরনো টাকা আছে৷ সেই টাকা দিয়ে অনায়াসে অক্সিজেন প্ল্যান্ট, অ্যাম্বুলেন্স কেনা যায়৷ জেলা শাসককে সবটা জানানো হয়েছে৷ এই টাকা মানুষের জন্য। এখন টিঠি চালাচলির সময় নয়৷ দ্রুত কাজ করতে হবে৷ কোভিড মোকাবিলায় সাংসদ তহবিলের সব টাকা দিতে চাই৷’’
অধীরবাবু আরও বলেন, আমাদের ক্ষমতা সীমাবদ্ধ হলেও, সারা বঙ্গের কংগ্রেস কর্মীদের কাছে একটাই বার্তা দিতে চাই, তাঁরা যেন শহর, গ্রাম, ব্লক, পঞ্চায়েত সর্বত্র হেল্পলাইন খুলে মানুষের পাশে দাঁড়াতে৷ এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত জেলা সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলেও জানান তিনি৷ পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের মানুষের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁর আবেদন, সংকীর্ণতাকে দূরে সরিয়ে রেখে উদারতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে যেন এই সঙ্কটে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়৷ বিনা পয়সায় সকলকে ভ্যাকসিন দিতে হবে বলেও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি কংগ্রেসের৷ তিনি বলেন, শেষে বাজেটে ভ্যাকসিনের জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল৷ সেই টাকা কোথায় গেল?
তাঁর কথায়, অপ্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে হাজার হাজার কোটি টাকা কেন খরচ করছে কেন্দ্রীয় সরকার? এই সঙ্কটে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পে ২০ হাজার কোটি টাকা খরচের কি প্রয়োজন? দরিদ্র, দলিত, পিছিয়ে পরা মানুষরা কোথায় যাবে? তাঁদের কেন বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে না? এটা সরকারের দায়িত্ব৷ জনপ্রতিনিধি হিসাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে উদারহস্তে সহযোগিতা করার জন্য চিঠি পাঠিয়েছেন বলেও জানান অধীর৷
আরও পড়ুন- জনগণের রায় মেনে নিতে পারছে না বিজেপি, তাই দাঙ্গা করছে, তোপ মমতার
পাশাপাশি অধীরবাবু বলেন, রাজ্য সরকারের কাছে কংগ্রেসের দাবি, একটি সর্বদলীয় বৈঠক করা হোক৷ তাহলে আমাদের অভিজ্ঞতা, আশঙ্কা, মতামত ব্যক্ত করার সুযোপ পেতে পারি৷ আমাদের বিধায়ক না থাকলেও, বিরোধী হিসাবে কংগ্রেস আছে৷ মানুষের জন্য আমাদেরও কিছু বলার ও চাওয়ার আছে৷