সম্পত্তির হিসেবে আম্বানি তো দূর, বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিকেও পিছনে ফেললেন আদানি

গত এক বছরে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে গৌতম আদানির সম্পত্তি

নয়াদিল্লি: আম্বানি, আদানির মতো ধনকুবের শিল্পপতিদের সুবিধা করে দেওয়ার জন্যেই বিতর্কিত কৃষি আইন এনেছে মোদী সরকার, দীর্ঘ দিন ধরে প্রতিবাদে সামিল হয়ে মূলত এই বুলিই আওড়ে চলেছে আন্দোলনরত কৃষকরা। সরকারি সুযোগ সুবিধা ঠিক কতটা আছে তা অবশ্য তর্কসাপেক্ষ, কিন্তু তা সত্ত্বেও বলা যায়, এদিন যে নজির গড়লেন গৌতম আদানি তা নিঃসন্দেহে অনন্য। সম্পত্তির হিসেবে বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদেরও পিছনে ফেলে দিলেন তিনি। 

গত এক বছরে গৌতম আদানির মতো সম্পত্তির বৃদ্ধি বিশ্বের আর কোনও ধনকুবের করে উঠতে পারেননি, সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্যই। জেফ বেজোস হোক বা এলোন মাস্ক, আদানির কাছে গত এক বছরে হার মেনেছেন সকলেই। এমনকি তাঁর রেকর্ডের ধারে কাছে নেই ভারতে তাঁর অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুকেশ আম্বানিও। একলাফে গৌতম আদানির সম্পত্তি পরিমাণ এভাবে বেড়ে যাওয়া নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে শিল্প মহলে। সূত্রের খবরে জানা গেছে, এক বছর আগেও ভারতের অন্যতম ধনী শিল্পপতি গৌতম আদানির সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১৬.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিন্তু বর্তমানে তা ৫০ বিলিয়নে এসে পৌঁছেছে। আদানির সম্পত্তির অভাবনীয় এই উত্থান কার্যত তাক লাগিয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। জানা গেছে, আদানি গোষ্ঠীর প্রায় সবকটি শেয়ারের মূল্যই গত এক বছরে ৫০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, শুধু একটি মাত্র শেয়ার এই বৃদ্ধির তালিকায় থাকছে না। 

আরও পড়ুন- সিপিএম এবার ‘হাতিয়ার’ করল লুঙ্গি ডান্সকে! টুম্পার পর নতুন প্যারোডি গান

একটি বিদেশী সংস্থার করা সমীক্ষায় উঠে আসা পরিসংখ্যান বলছে, গত এক বছরে ভারতের এই মুহূর্তের ধনীতম শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ৮.১ বিলিয়ন ডলার। সেখানে আদানির বৃদ্ধি ৩৩.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ ব্যবসায়িক সাফল্যের মুখোমুখি হয়েছেন গৌতম আদানি। বন্দর, বিমানবন্দর, ডেটা সেন্টার, কয়লাখনি, বিদ্যুৎ প্রভৃতি প্রায় সবক্ষেত্রেই রয়েছে তাঁর গোষ্ঠীর বিনিয়োগ। অস্ট্রেলিয়ার বিতর্কিত কার্মাইকেল কয়লা খনিও নিয়েছে এই সংস্থা। বিশেষজ্ঞদের মতে, আদানি গোষ্ঠীর সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি তাঁদের বিনিয়োগ ক্ষেত্রে বাছাই। সেই সব ক্ষেত্রেই তাঁরা বিনিয়োগ করেছে, বাজারে পতন সত্ত্বেও যেগুলির খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 + fourteen =