সিউড়ি: মূল্যবৃদ্ধির বাজারে হু হু করে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনী জিনিসের দাম৷ বাজারে ঢুকলেই মধ্যবিত্তর পকেটে ছ্যাঁকা। একটা সময় ছিল যখন বিকেলবেলা বেশ কম দামেই পাওয়া যেত বড়মাপের চপ৷ কিন্তু এখন সেই চপের দামও বেড়ে হয়েছে ৬-১০ টাকা৷ কোথাও আবার তার চেয়েও বেশি৷ এই বহুমূল্যের দুনিয়ায় ব্যতিক্রম বীরভূমের সিউড়ির ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কোমা গ্রাম৷ কারণ, ৫-১০ টাকা নয়, সেই গ্রামে আজও মেলে ১ টাকার চপ৷ বছরের পর বছর এই ভাবেই চপ বিক্রি করে চলেছেন দিলীপ দে৷
আরও পড়ুন- পঞ্চায়েতের আগেই ধাক্কা তৃণমূলের, কংগ্রেসের কাছ হারল এই পুরসভা
মূল্যবৃদ্ধির বাজারে ১টাকার চপের কথা শুনে অনেকেই চমকে যান৷ কৌতুহল নিয়েই ছুটে আসেন চপ খেতে৷ কিন্তু কেন এত কম দামে চপ বেচেন তিনি? দিলীপবাবু জানান, মায়ের কথা রাখেই ১ টাকায় চপ বিক্রি করেন তিনি৷ গরিব এলাকায় স্কুলের পড়ুয়ারা প্রায় সময়ই টিফিনে চপ মুড়ি খায়৷ উঁচু ক্লাসের পড়ুয়ারা তো আর মিড ডে মিল পায় না৷ সকলের কথা ভেবেই তিনি ১ টাকায় চপ বিক্রি করেন৷ তবে এর জন্য সরকারি কোনও সহযোগিতা বা অনুদান পাননি বলেই জানান দিলীপবাবু৷ চপ বিক্রি করেই চলে তাঁর সংসার৷
বিক্রিবাটা তবে মন্দ নয়৷ প্রতিদিন ১০-১২ কিলো আলু বিক্রি হয়ে যায়৷ সকাল হলেই দোকান খুলে চপ বিক্রি শুরু করেন দিলীপবাবু৷ ১০টার মধ্যেই সব চপ শেষ৷ আবার বিকেল চারটের পর ফের দোকান খোলেন তিনি৷ সন্ধে সাতটা বাজতে বাজতেই ফাঁকা হয় চপের ঝুড়ি৷ শুধু স্থানীয় বাসিন্দারাই নন৷ আশপাশের গ্রামের মানুষও আসেন দিলীপবাবুর চপ খেতে৷ এক ক্রেতা বলেন, অনেকেই ১ টাকার চপ শুনে চমকে যায়৷ তবে তাঁরা ছোট থেকেই এই চপ খাচ্ছেন৷ বাম্পার সেলও আছে৷ দীর্ঘ ২৫ বছরের বেশি সময় ১ টাকাতেই চপ বিক্রি করছেন দিলীপবাবু।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>