ঝালদা: বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ঠিকভাবে দেখতে গেলে আর ৪-৫ মাসের মধ্যেই হবে এই ভোট। কিন্তু তার আগেই বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে তাদের। এই পুরসভার আস্থাভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করেছে কংগ্রেস। অর্থাৎ তৃণমূলের থেকে এই পুরসভা ছিনিয়ে নিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন- আরও এক দফা চার্জশিট বগটুই কাণ্ডে, ৮ নামের উল্লেখ সিবিআই-এর
সোমবার ঝালদা পুরসভার আস্থাভোট হয়। কিন্তু সেই ভোটে উপস্থিত ছিলেন না শাসক দলের কোনও কাউন্সিলর। এদিকে দুই নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে দেয় কংগ্রেস। তারপর উৎসবের মেজাজে ঝালদা শহরে বিজয় মিছিল করে হাত শিবির এবং একই সঙ্গে নিহত প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর নামে স্লোগান দেয় তারা। কিন্তু আচমকা ঝালদায় হল কী? আসলে গত মাসে ঝালদার পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন বিরোধীরা। পাঁচ কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং এক জন নির্দল কাউন্সিলর অনাস্থা প্রস্তাব আনার পর তৃণমূল ছাড়ন কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়। এখানেই সমীকরণ বদলে যায় এবং পরিস্থিতি তৃণমূলের অনুকূলে আর থাকে না।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ ঝালদা শহরে খুন হন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। তাঁকে লক্ষ্য করে ৩ রাউন্ড গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। তার মধ্যে একটি গুলি তাঁর মাথা ভেদ করে বেরিয়ে যায়। ঘটনার তদন্ত হাতে নেওয়ার পর একাধিক জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাদের তদন্তভার নেওয়ার আগে সিট এই ঘটনার তদন্ত করছিল। কিন্তু তাঁদের তদন্তে খুশি ছিলেন না নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী। তাঁর অভিযোগ ছিল, যাতে সত্যি সামনে না আসে তাই সিট ইচ্ছাকৃত ভুল কাজ করেছে।