রাষ্ট্রপুঞ্জ: গোটা গ্রীষ্ণে হাঁসফাস করা গরমে নাভিশ্বাস উঠেছিল এ রাজ্যের মানুষের৷ অক্টোবরের মাঝামাঝি পৌঁছেও রোদের তেজ কমেনি৷ ছাতা ছাড়া রাস্তায় বেরলেই রোদ্দুরের ছ্যাঁকা লাগছে শরীরে৷ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও থাকছে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ডিগ্রি বেশি৷ গরম ভাব কমে কবে শীতের পরশ মিলবে, তা এখনও জানা নেই৷ এই অবস্থায় আবহাওয়া নিয়ে বড় ভবিষ্যদ্বাণী করল রাষ্ট্রপুঞ্জ ও রেডক্রস৷ যা শুনে আতঙ্কিত অনেকেই৷
আরও পড়ুন-বিশ্বের এমন কিছু দেশ যাদের নিজস্ব কোনও মুদ্রাই নেই! জানুন ৬ দেশের অজানা কাহিনি
চলতি বছর শুধু বাংলা বা ভারতে নয়, তাপমাত্রার পারদ চড়েছিল পড়শি পাকিস্তান এবং আফ্রিকাতেও৷ এই দুই দেশেরই বেশ কিছু জায়গায় তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে৷ দিল্লি-সহ গোটা উত্তর ভারতেও তাপমাত্রার পারদ ছিল চড়া৷ রাজধানী দিল্লির তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছিল ৫০ ডিগ্রির কাছাকাছি৷ একই হাল ছিল পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া ও পুরুলিয়াতে৷ তাপমাত্রা বৃদ্ধির এই সব উদাহরণ তুলে ধরেই রাষ্ট্রপুঞ্জ ও রেডক্রসের আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, আর বেশি দেরি নেই৷ অত্যধিক তাপপ্রবাহের জেরে মাত্র দু’দশকের মধ্যে আফ্রিকা, পশ্চিম এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কিছু জায়গায় বসতি উজার হবে। এই অঞ্চলগুলি আর বাসযোগ্য থাকবে না৷ চিন্তার বিষয় হল, যে সকল জায়গাগুলি নিয়ে আবহাওয়াবিদরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ ও মধ্য ভারতের বেশ কিছু অঞ্চল৷ পাশাপাশি তাপপ্রবাহের ইঙ্গিত রয়েছে পড়শি পাকিস্তানেও৷
রেডক্রস ও রাষ্ট্রপুঞ্জের হুঁশিয়ারি, ক্যান্সারের বা ম্যালেরিয়ার মতো কোনও মারন রোগ নয়, দক্ষিণ ও মধ্য ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে মৃত্যুর প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়াবে তাপপ্রবাহ৷ আগামী দু’দশের মধ্যে এই ভয়ানক প্রাকৃতিক বিপর্যয় টের পাওয়া যাবে৷ গবেষকদের কথায়, ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্রখর রোদে চাষবাস করলে তা কৃষকদের জন্য তা বিপদ ডেকে আনবে৷ অত্যধিক তাপপ্রবাহের জেরে বিপদ বাড়বে প্রবীণ নাগরিক, গর্ভবতী মহিলা, সদ্য প্রসূতি ও শিশুদের৷
সম্প্রতি মিশরের রাজধানী কায়রোয় আবহাওয়া সংক্রান্ত একটি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল৷ সেই সম্মেলনে রেডক্রস ও রাষ্ট্রপুঞ্জের আবহাওয়াবিদরা জানান, অত্যধিক গরম সহ্য করতে না পেরে বেশ কিছু জায়গার মানুষ অন্যত্র সরতে শরু করেছে৷ ব্যতিক্রম নয় মধ্য ভারতও৷ এর ফলে যেমন শরণার্থীদের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে তেমনই ক্ষতিগ্রস্ত চাষের কাজ৷ এই পরিস্থিতিতে রেড ক্রস সাধারণ মানুষের সামর্থের মধ্যে তাপ সহনীয় আশ্রয় স্থল এবং কুলিং সেন্টার তৈরির উপর জোর দেওয়া হয়েছে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>