কলকাতা: প্রতিটি দেশেই নিজস্ব মুদ্রা চালু রয়েছে৷ যা একটি দেশের স্বতন্ত্রতা গড়ে তোলে৷ এক একটি দেশের মুদ্রা এক একটি নামে অভিহিত হয়৷ যেমন- ভারতে রুপি বা টাকা, আমেরিকায় ডলার, ইউরোপীয় দেশগুলিতে ইউরো, জাপানের ইয়েন, রাশিয়ার রুবল, চিনে রেনমিনবি, মধ্যপ্রাচ্যে দিনার ইত্যাদি। কিন্তু জানেন কি, বিশ্বে এমন কিছু দেশ রয়েছে যাদের নিজস্ব কোনও মুদ্রাই নেই। শুনে অবাক লাগছে তো? অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। কিন্তু, ওই দেশগুলিতে নিজস্ব মুদ্রা নেই কেন? জেনে নিন নেপথ্য কাহিনি৷
আরও পড়ুন- ইউক্রেনকে রুখতে ‘ভয়ানক’ সেনা কমান্ডারকে দায়িত্ব দিলেন পুতিন, কে এই সের্গেই?
যে সব দেশে নিজস্ব কোনও মুদ্রা নেই, তাদের মধ্যে অন্যতম দক্ষিণ আফ্রিকার রিপাবলিক অফ জিম্বাবোয়ে৷ ২০০৯ সালে এক ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়তে হয়েছিল তাদের। অতিরিক্ত ঋণের চাপে নিজেদের মুদ্রা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিল জিম্বাবোয়ে সরকার। তবে থেকে এখানে চালু রয়েছে ভারতের টাকা, দক্ষিণ আফ্রিকার রেন্ড, ব্রিটেনের পাউন্ড সহ ইউরোপীয় দেশগুলির ইউরো, জাপানের ইয়েন এবং অস্ট্রেলিয়ান ডলার৷ বিভিন্ন দেশের মুদ্রার মাধ্যমে চলে এই দেশের ব্যবসায়িক লেনদেন৷
এমন আরেকটি দেশ হল- দক্ষিণ আমেরিকার ইকুয়েডর৷ এই অঞ্চলের সম্পদ মূলত খনিজ তেলের উপর নির্ভরশীল। ২০০০ সালে ইকুয়েডরে তীব্র অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়৷ এর পর থেকে আর তাদের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ঋণের বোঝায় জর্জরিত এই দেশের মুদ্রা বাতিল করতে হয়। এই দেশে এখন মার্কিন ডলার চলে৷
নিজস্ব মুদ্রা নেই এমন আরও একটি দেশ হল দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের নাউরু৷ এটি একটি দ্বীপরাষ্ট্র। আয়তন মাত্র ৮.১ বর্গ মাইল৷ এটিই নাকি বিশ্বের সবচেয়ে ছোটো দ্বীপরাষ্ট্র। জনসংখ্যা মাত্র ১০ হাজার। এই দেশে নিজস্ব কোনও মুদ্রা নেই৷ নেই কোনও রাজধানী এবং সেনাবাহিনী৷ বহু বছর জার্মানির অধীনে থাকার পর প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্র দেশগুলির সহায়তায় অস্ট্রেলিয়া তাদের স্বাধীন করে। তারপর থেকে সেখানে অস্ট্রেলিয়ান ডলার বৈধ।
মধ্য আমেরিকার দেশ পানামা। ১৯০৩ সালে, আমেরিকার মদতে তারা কলম্বিয়ান ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত হয়। পানামা খাল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং পানামার মধ্যে চুক্তি সাক্ষরিত হওয়ার পর থেকে এখানে মার্কিন ডলার চালু রয়েছে৷ তাদের অর্থনীতিও আমেরিকার উপর নির্ভরশীল৷
মোনাকো বিশ্বের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ হল মোনাকো। ইউরোপে অবস্থিত এই দেশের জনসংখ্যা মাত্র ৩৭ হাজার। মোনাকোর অর্থনীতি সম্পূর্ণভাবে ফ্রান্সের উপর নির্ভরশীল৷ এখানে শুধুমাত্র ফরাসি মুদ্রা ইউরোই বৈধ।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>