ঊর্ধ্বমুখী উষ্ণতার পারদ, বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে কি স্বস্তি দেবে?

ঊর্ধ্বমুখী উষ্ণতার পারদ, বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে কি স্বস্তি দেবে?

কলকাতা: বসন্তের মাঝেই চোখ রাঙাচ্ছে সূয্যিমামা৷ হু হু করে চড়ছে তাপমাত্রার পারদ৷ দুপুর হলে বেশ ভালোমতোই অনুভূত হচ্ছে গরমের হলকা৷ হাসফাঁস গরমেই কাটবে বসন্তোৎসব৷ বৃহস্পতিবার কলকাতার তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৩৭ ডিগ্রির পারদ৷ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৫ ডিগ্রির আশেপাশে৷ এরই মধ্যে মিলেছে অশনি সংকেত৷ ধেয়ে আসছে বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং৷ আগামী সপ্তাহেই তা আঘাত হানবে বলে পূর্বাভাস৷  

আরও পড়ুন- দলের অবস্থা বদলাতে বয়সে কোপ? বাদ পড়ছেন বিমান, সূর্যরা

হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আগামী ২১ মার্চ দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান উপকূলে প্রথম আঘাত হানবে সিত্রাং৷ বাংলার বুকে এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা৷ তবে নিম্নচাপের জেরে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকে পড়বে৷ যার জেরে দক্ষিবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়ায় পরিবর্তন আসবে৷ ইন্দোনেশিয়ার বান্দা উপকূলের কাছে মঙ্গলবার রাতেই এই গভীর নিম্নচাপটি তৈরি হয়৷ দক্ষিণ বঙ্গোপসারগরের কাছে পৌঁছনোর পর সেটি আপাতত পূর্ব ও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছে৷ 

সিত্রাং-এর জেরে ২২ মার্চ থেকে কলকাতার আকাশ মেঘলা থাকবে৷ তবে এ রাজ্যে সিত্রাংয়ের প্রভাব সে ভাবে পড়বে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়৷ হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, ইন্দোনেশিয়ার বান্দায় তৈরি নিম্নচাপ ক্রমে বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। যদি তা ওডিশা বা পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ঢুকে, তবেই এ রাজ্যে ঝড়বৃষ্টি হবে৷ 

হাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, আগামী ১৯ মার্চ সকালে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান উপকূলের সংলগ্ন অঞ্চলের কাছে পৌঁছে আরও গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে সিত্রাং। ২০ মার্চ তা ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোনের আকার ধারণ করবে। পরের দিন ২১ মার্চ আছড়ে পড়বে ভূপৃষ্ঠের উপর৷ ২১ মার্চ উত্তর আন্দামানের উপর আঙাত হানতে পারে সিত্রাং। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আগামী ২৩ মার্চ বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূলের কাছে পৌঁবে এই ঘূর্ণিঝড়৷ ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিবেগে এই ঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা উপকূলে।     
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বঞ্চলীয় অধিকর্তা গণেশ কুমার দাশ জানিয়েছেন, আপাতত রাজ্যে ঝড় বৃষ্টির কোনও সম্ভবনা নেই। তবে ১৯-২০ মার্চ নাগাদ নিম্নচাপের প্রভাব এরাজ্যে পড়তে পারে। ঘূর্ণঝড় হবে কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়।’   কারণ এর অভিমুখে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের দিকে৷ 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 + ten =