কলকাতা: সিপিএমের রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়ছেন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, রবীন দেবরা। এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র মারফৎ। শুধু তারা নয়, বাদ পড়তে চলেছেন মৃদুল দে, নেপালদেব ভট্টাচার্য সহ আরও অনেকেই। এঁদের বদলে কমিটিতে আসতে পারেন শতরূপ ঘোষ, সুশান্ত ঘোষ, সুদীপ সেনগুপ্ত, তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ প্রমুখ। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন শ্রীদীপ ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন- ইউক্রেন ফেরত বাংলার পড়ুয়াদের নিয়ে চিন্তা, মোদীকে চিঠি মমতার
মঙ্গলবার থেকে কলকাতায় শুরু হয়েছে সিপিএমের রাজ্য সম্মেলন। কিন্তু এই সম্মেলনের যে ছবি ধরা পড়েছে তাতে অস্বস্তি বেড়েছে দলের। দেখা গিয়েছে, সম্মেলনে যোগ দিয়ে মঞ্চেই ‘ঘুমিয়ে পড়েছেন’ সিটুর সাধারণ সম্পাদক তথা পলিটব্যুরো সদস্য তপন সেন, কৃষক নেতা হান্নান মোল্লা, এমনকি বিমান বসুও! এই ছবি ভাইরাল হতেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল যে, দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের অবস্থা যদি এই হয়, তাহলে দল কী ভাবে ঘুরে দাঁড়াবে? লাগাতার একের পর এক নির্বাচনে বাংলায় ধরাশায়ী হয়েছে সিপিএম। বিধানসভা নির্বাচনে শূন্য হয়ে গিয়েছে তারা। পরে উপনির্বাচন হোক, কিংবা পুরসভা, ভোট শতাংশের ওপর জোর দিলেও আখেরে লাভের লাভ কিছু করতে পারেনি লাল ব্রিগেড। উলটে কংগ্রেস, আইএসএফের সঙ্গে জোট করে সমালোচনার শিকার হয়েছে। এখন এই বদল কি দলের অচলাবস্থা কাটাতেই? প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
অনেকের বক্তব্য ছিল, বিধানসভা নির্বাচনের পরেই সিপিএম দলের অন্দরে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেওয়া উচিত ছিল। কারণ ভোটের পর কংগ্রেস প্রায় প্রত্যক্ষভাবেই সিপিএমের সঙ্গে জোট নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছিল। বাংলার মানুষও যে সেই জোট মেনে নেয়নি তার হাতেনাতে প্রমাণ দিয়েছে বিধানসভা নির্বাচনের ফল। তাই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, আগে থেকে যদি সিদ্ধান্ত নেওয়া হত তাহলে হয়তো পরের নির্বাচনগুলিতে কিছু সুবিধা করতে পারত সিপিএম।