কলকাতা: ঝালদা ইস্যুতে হাই কোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য৷ ঝালদা পুরসভায় প্রশাসক বসানোর জন্য রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট৷ অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে৷ প্রশাসক নয়, পুরসভায় দায়িত্ব সামলাবেন জেলা শাসক এবং ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি থাকবে বলে নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার৷
আরও পড়ুন- SSKM-এ ভাঙচুর, পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ মমতার, উদ্বেগ ট্রমা সেন্টার নিয়ে
২ ডিসেম্বর সরকারের তরফে ঝালদা পুরসভায় প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, সেই সিদ্ধান্তের উপরে স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা৷ ৩ জানুয়ারি ফের মামলার শুনানি হবে৷ ওই দিনই সব পক্ষের হলফনামা তলব করা হয়েছে৷ বিরোধী কংগ্রেস কাউন্সিলারদের অভিযোগ, গত ২১ নভেম্বর তাঁরা ঝালদা পুরসভায় আস্থা ভোট ডেকেছিলেন৷ আস্থা ভোটের পর চেয়ারম্যানকে অপসারিত করা হয়৷ নিয়ম অনুযায়ী এর ৭ দিনের মধ্যে নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচনের জন্য ভাইস চেয়ারম্যানকে একটি বিশেষ সভা বা মিটিং ডাকতে হবে৷ কিন্তু, ইতিমধ্যে ভাইস চেয়ারম্যানও পদত্যাগ করেন৷ এর পর পুর আইন অনুযায়ী পুরসভার তিন বিরোধী কাউন্সিলর ২৯ নভেম্বর বিশেষ সভার দিন ধার্য করেন এবং ৩ ডিসেম্বর চেয়ারম্যান নির্বাচনের কথা ঘোষণা করেন৷ কিন্তু, এর আগেই গত শুক্রবার অর্থাৎ ২ ডিসেম্বর সরকারের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঝালদা পুরসভায় বর্তমানে কোনও চেয়ারম্যান নেই৷ পুরসভার দৈনন্দিন কাজ পরিচালনা করার জন্য রাজ্য সরকার প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এবং ইতিমধ্যেই সেই প্রশাসক তাঁর কার্যভার গ্রহণ করেছেন৷
এদিন আদালতের প্রশ্ন ছিল, ভাইস চেয়ারম্যান বা উপ পুরপ্রধান কার কাছে তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন? তাঁর পদত্যাগপত্র গৃহীত হল কিনা ২ ডিসেম্বর নির্দেশিকায় উল্লেখ নেই৷ ভাইস চেয়ারম্যানের তরফে এক আইনজীবী আদালতকে জানান, ২৮ নভেম্বর তিনি এসডিও-র কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন৷ সেটা গৃহীতই হয়েছে৷ কিন্তু এর লিখিত প্রতিলিপি তাঁরা দেখাতে পারেননি৷ বলা হয়, মৌখিক ভাবে পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে৷ এই যুক্তি মানতে পারেননি বিচারপতি অমৃতা সিনহা৷ এর পরেই রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশ দেন বিচারতি৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>