কলকাতা: টানা দু’বছর অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পর কিছুটা থিতু হয়েছিল পরিস্থিতি৷ কিন্তু নতুন বছরের প্রাক্কালে ফের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে করোনা৷ এবার দাপট দেখাচ্ছে করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট। ওমিক্রনের উপরূপ BF.7-এর পর এবার ভয় ধরাচ্ছে ওমিক্রন BA.2-এর উপ-প্রজাতি XBB.1.5।
আরও পড়ুন- কারা নিতে পারবেন কোভিডের নাকের টিকা? কাদের জন্য বিপদ? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
চিনের পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে৷ দিনে ৯ হাজারের বেশি মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে সে দেশে৷ ইতিমধ্যেই সতর্কতা অবলম্বন করেছে ভারত৷ এবার সেই পথে হেঁটে চিন থেকে আগত পর্যটকদের জন্য বিশেষ কোভিড বিধি জারি করল পশ্চিমী দুনিয়ার আরও কতকগুলি দেশ। বিমানবন্দরেই কোভিড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করল আমেরিকা সহ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলি৷ আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে চিন থেকে আসা যাত্রীদের জন্য কোভিডের নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ ব্রিটেনও আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে চিন ফেরত সমস্ত যাত্রীদের কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক হয়েছে৷
সম্প্রতি সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (CDC)-এর প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৪০ শতাংশই করোনা ভাইরাসের XBB.1.5 প্রজাতিতে আক্রান্ত। এই সাব ভ্যারিয়ান্টকে ‘সুপার ভ্যারিয়েন্ট’ বলেও আখ্যায়িত করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
চিনে যে ভাবে করোনা ভাইরাস চোখ রাঙাতে শুরু করেছে তা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনার সুপার ভ্যারিয়েন্ট XBB.1.5-এ আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মাইকেল ওস্টারহোম বলেন, “সম্ভবত গোটা বিশ্ব সবচেয়ে খারাপ যে ভ্যারিয়েন্টের মোকাবিলা করছে সেটি হল XBB।”
ডা. ওস্টারহোম জানিয়েছেন, আমেরিকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ১০টি প্রদেশের মধ্যে ৭টিতেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে৷ হাসপাতালে উপচে পড়ছে কোভিড রোগীর ভিড়, যার আর অধিকাংশই XBB-প্রজাতিতে সংক্রমিত।
৩১ ডিসেম্বরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোট করোনা আক্রান্তের মধ্যে ৪৪.১ শতাংশই BA.2, XBB এবং XBB.1.5 প্রজাতিতে আক্রান্ত। এর মধ্যে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট সংক্রমিতের ২১.৭ শতাংশই আক্রান্ত হয়েছেন XBB.1.5 প্রজাতিতে৷
গত অগাস্ট মাসে ভারতে প্রথম করোনা ভাইরাসের XBB উপ-প্রজাতির হদিশ মেলে। সিঙ্গাপুরেও ছড়িয়ে পড়েছিল এই করোনার এই প্রজাতি। সেই সময় থেকেই এটিকি একই প্রজাতির XBB.1 এবং XBB.1.5 সহ সাব ভ্যারিয়েন্টের ধরা হয়েছে। চিন্তার বিষয় হল XBB.1.5 সাব ভ্যারিয়েন্টটি কোষের মধ্যে জমাট বেধে যায়। ফলে XBB.1-এর থেকে এটি আরও বেশি মারাত্মক৷ এমনটাই দাবি করেছে, জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির ভাইরোলজিস্ট অ্যান্ড্রিউ পেকোজের।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>