কারা নিতে পারবেন কোভিডের নাকের টিকা? কাদের জন্য বিপদ? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

কারা নিতে পারবেন কোভিডের নাকের টিকা? কাদের জন্য বিপদ? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

নয়াদিল্লি:  টানা দু’বছর তাণ্ডবের পর কিছুটা থিতু হয়েছিল পরিস্থিতি৷ ফের পুরনো ছন্দে ফিরছিল মানব জীবন৷ কিন্তু বছর শেষে ফের চোখ রাঙাতে শুরু করেছে করোনা। সংক্রমণ রুখতে বাড়ছে টিকা নেওয়ার হিড়িক। এরই মধ্যে গত সপ্তাহে ভারতে এসে গিয়েছে ভারত বায়োটেকের নাকে দেওয়ার কোভিড টিকা। কিন্তু প্রশ্ন হল কারা এই টিকা নিতে পারবেন? 

আরও পড়ুন- আসতে পারে নতুন এক করোনা ভাইরাস! কতটা ভয়ঙ্কর হবে সেটি?

জানা গিয়েছে, যাঁরা ইতিমধ্যেই বুস্টার ডোজ নিয়ে ফেলেছেন তাঁরা আর ভারত বায়োটেকের নাকে দেওয়ার কোভিড টিকা ইনকোভ্যাক নিতে পারবেন না। ন্যাশনাল টেকনিক্যাল গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন (এনটিএজিআই)-এর প্রধান এনকে অরোরার কথায়, ‘‘প্রথম বুস্টার টিকা হিসাবে নাকে দেওয়ার কোভিড টিকা নেওয়া যেতে পারে। কেউ যদি ইতিমধ্যেই বুস্টার টিকা নিয়ে থাকেন তা হলে তিনি আর নাকে দেওয়ার কোভিড টিকা নিতে পারবেন না। এই টিকা শুধুমাত্র তাঁদের জন্য যাঁরা এখনও পর্যন্ত বুস্টার টিকা নেননি। কো-উইন অ্যাপে কেউ যদি চতুর্থ বার কোভিড টিকা নেওয়ার জন্য নাকে দেওয়া টিকার বুকিং করতে চান, তাহলে তা গ্রহণ করা হবে না।’’

এনকে অরোরা ব্যখ্যা দিয়ে বলেন, ‘‘মনে করুন আপনি কোভিড টিকার চতুর্থ ডোজ নিতে চাইছেন। সেক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো চিকিৎসা বিজ্ঞানে ‘অ্যান্টিজেন সিঙ্ক’ বলে একটি কথা আছে৷ কোনও ব্যক্তিকে বার বার একটি নির্দিষ্ট ধরনের অ্যান্টিজেন দিয়ে টিকা দেওয়া হলে তাঁর শরীরে সেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। সেই কারণেই প্রাথমিক ভাবে এমআরএনএ টিকা দেওয়া হত ছয় মাসের ব্যবধানে। পরবর্তীতে, অনেকেই  তিন মাসের ব্যবধানে এই টিকা নিতে শুরু করেন। কিন্তু, সে ক্ষেত্রে এই টিকা খুব বেশি কাজ করেনি। তাই এই মুহূর্তে কোভিড টিকার চতুর্থ ডোজ নেওয়া হলে তার মূল্য থাকবে না।’’

এনকে অরোরার মতে, এই টিকা কেবল কোভিডের বিরুদ্ধে নয়, শ্বাসযন্ত্রের উপর হামলাকারী যে কোনও ভাইরাসের বিরুদ্ধেই শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। ১৮ বছরের উর্ধ্বে যে কেউ এই টিকা নিতে পারেন। টিকা নেওয়ার পর কিছু ক্ষণের জন্য নাক বন্ধ হতে পারে, তাতে ভয়ের কিছু নেই৷ এই নাসাল ভ্যাকসিনের অন্য কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

গত সপ্তাহেই ভারত বায়োটেকের নাকে দেওয়ার কোভিড টিকা ইনকোভ্যাককে ছাড়পত্র দেয় কেন্দ্র। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এই টিকার দাম পড়বে ৮০০ টাকা। তবে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে টিকা নিতে হলে, এর দামের সঙ্গে ৫ শতাংশ জিএসটি যুক্ত হবে। সেক্ষেত্রে এই টিকার দাম দাঁড়াবে ৮৪০ টাকা। তেমনই সরকারি হাসপাতাল থেকে নিলে ৫ শতাংশ জিএসটি ছাড়া এই টিকার দাম পড়বে ৩২৫ টাকা।