‘আমার ফ্যান তো কমে গেছে!’ পুজো উদ্বোধনে এসে সপাটে জবাব ঠোঁট কাটা শ্রীলেখার

‘আমার ফ্যান তো কমে গেছে!’ পুজো উদ্বোধনে এসে সপাটে জবাব ঠোঁট কাটা শ্রীলেখার

ধুপগুড়ি:  টলিপাড়ায় বরাবরই বিতর্কিত তিনি৷ তাঁকে নিয়ে চর্চার অন্ত নেই৷ তিনি শ্রীলেখা মিত্র৷ গত রবিবার তাঁকে দেখা গেল উত্তরবঙ্গের ধূপগুড়িতে৷ সেখানে শ্যামাপুজোর উদ্বোধনে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী৷ তিনি যেখানে যাবেন, সেখানে বিস্ফোরণ হবে না, তা আবার হয় নাকি? এদিন ফ্যানেদের প্রসঙ্গ উঠতেই বোমা ফাটালেন শ্রীলেখা মিত্র৷ 

আরও পড়ুন- বলিউডে ভূতের ছায়া! কখনও দিপীকা, কখনও অনুষ্কা, পর্দায় ভয় ধরান এই অভিনেত্রীরা

এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নে হাসিমুখেই জবাব দেন অভিনেত্রী৷ জানান, তিনি উত্তরবঙ্গে এর আগেও শ্যুটিং-এর জন্য বহু বার এসেছেন৷ তবে ধূপগুড়িতে এই প্রথম৷ উত্তরবঙ্গের প্রতি তাঁর টান বরাবরের বলেও উল্লখে করেন তিনি৷ তাই হয়ত সুযোগ পেলেই এখানে ছুটে আসতে চান৷ তবে বেশ কিছু দিন হল বড় পর্দায় ধরা দেননি শ্রীলেখা৷ আগামী দিনে কোথায় দেখা যাবে তাঁকে? শ্রীলেখা জানান, শীঘ্রই তাঁর ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ক্যালকাটা’ মুক্তি পাবে৷ যে ছবির জন্য নিউ ইয়র্কে সেরা ভারতীয় অভিনেত্রী হিসাবে সম্মানিত হয়েছেনতিনি ৷ পাশাপাশি চলছে তাঁর ডিরেকশনের কাজও৷

এরই মাঝে এক সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেন, আপানার তো অনেক ফ্যান, তাঁদের উদ্দেশে কী বার্তা দিতে চান? ফ্যান নিয়ে কথা হতেই অকপট শ্রীলেখা৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার ফ্যান তো কমে গেছে এখন!’’ কেন ভক্ত সংখ্যা কমল তার ব্যখ্যাও দিয়েছেন অভিনেত্রী৷ তাঁর কথায়, ‘‘যাঁরা অন্য মতাদর্শে বিশ্বাস করে, তাঁরা আর আমার ফ্যান নেই৷ কারণ আমি মাঝ মধ্যেই কড়া সত্যি কথা বলে ফেলি৷ যা অনেকেরই ভাল লাগে না৷’’ সেই সঙ্গে শ্রীলেখা এও জানিয়ে দেন, তাঁর পক্ষে পাল্টানো সম্ভব নয়৷ কারণ একটাই জীবন৷ আর সেই জীবনে তিনি নিজের শর্তের বাঁচতে চান৷ সকলকে খুশি করা তাঁর পক্ষেই সম্ভব নয়৷ তাঁর চেয়ে নিজেকে খুশি করা ভালো৷ 

কথায় কথায় সংবাদমাধ্যমের উপরেও হালকা ক্ষোভও উগড়ে দেন অভিনেত্রী৷ জানান, অনেক সময়ই ভুল হেডলাইন ছাপা হয়৷ ভুল কথা লেখা হয়৷ সেটা একেবারেই উচিত নয়৷ তাঁর সাফ কথা, মেয়েরা প্রথমে লক্ষ্মী থাকে৷ তার পর দুর্গা থেকে চণ্ডী কিংবা কালী রূপে যায়৷ 

অভিনয়ের পাশপাশি শ্রীলেখা পশুপ্রেমী বলেও পরিচিত৷ সারমেয়র গায়ে শব্দবাজি বেঁধে মানুষের পৈশাচিক উল্লাসে ক্ষুব্ধ শ্রীলেখা৷ তাঁর কথায়, এদের পাশবিক বলাটাও ভুল৷ পশুরা মানুষের চেয়ে অনেক ভাল আচরণ করে৷ অন্যকে কষ্ট দিয়ে আনন্দ হতে পারে না৷ পশুর লেজে বাজি ফাটিয়ে মানুষ কী ভাবে আনন্দ পেতে পারে? প্রশ্ন তাঁর৷ 

এদিন ধুপগুড়ির এই পুজোয় থিম নিয়েও বেশ উচ্ছ্বসিত শ্রীলেখা৷ শ্রীলেখা বলেন, এই বছর আমরা অনেক গুণী শিল্পীদের হারিয়েছি৷ সব মৃত্যুই দুঃখজনক৷ তবে কেকে-র এটা যাওয়ার সময় ছিল না৷ সেই সব বিষয় মাথায় রেখে পুজো মণ্ডপের থিম করায় সাধুবাদ জানান তিনি৷