শুধু মানুষ নয়, গানের তালে নাচতে পারে ইঁদুরও! লেডি গাগার গানে তুমুল নাচের ভিডিয়ো ভাইরাল

শুধু মানুষ নয়, গানের তালে নাচতে পারে ইঁদুরও! লেডি গাগার গানে তুমুল নাচের ভিডিয়ো ভাইরাল

কলকাতা:  ‘আই অ্যাম আ ডিস্কো ডান্সার..’৷ এমন ডিস্কো সং বেজে উঠলে কে না নেচে উঠবে৷ কমবেশি দুলবে সবারই কোমর৷ কিন্তু সেতো মানুষের৷ তা বলে ইঁদুর?

 

 

 

আরও পড়ুন- প্রয়াত ভ্যাটিকানের সিটির প্রাক্তন পোপ বেনেডিক্ট ষোড়শ, বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর

 

হ্যাঁ, সাম্প্রতিক একটি গবেষণা দেখা গিয়েছে, শুধু মানুষ নয়, ঢাকে তাল উঠলে কোমর দোলায় ইঁদুররাও! গবেষণাগারে মিলছে তারই প্রমাণ৷ তা মাইকেল জ্যাকসনের ‘থ্রিলার’-ই হোক বা কুইনের ‘উই উইল রক ইউ’ কিংবা লেডি গাগা’র কোনও গান! কার্টুন চরিত্র জেরির মতো বাস্তবের ইঁদুররাও যে নেচে ওঠে দিব্য৷ সে নাচ দেখে চোখ ছানাবড়া হয় বইকি! 

টোকিয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন বৈজ্ঞানিকের সাম্প্রতিক গবেষণার রিপোর্ট নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে। জানা গিয়েছে,  মানুষের মতোই ইঁদুররাও গানের তালে শরীর দোলায়। গানের সুর শুনে আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে। গবেষণাগারে দশটি ইঁদুরের ওপর এই সমীক্ষাটি চালানো হয়েছিল৷ তাতে দেখা গিয়েছে,  বাস্তবের জেরিরা সবথেকে বেশি আপ্লুত হয়ে ওঠে লেডি গাগা আর মেরুন ফাইভের গান শুনলে৷

শুধু পা তুলে নয়, গান শুনে ইঁদুর বাবাজীবনরা একেবারে মাথা দুলিয়ে নাচতে শুরু করেছে৷ তাদের এহেন কীর্তি দেখে অনেকটাই তাজ্জব বিজ্ঞানীরা৷ গানের গতি যত বেড়েছে, ততই বেড়েছে ওই ইঁদুরদের মাথা দোলানোর গতি। ১৩২ বিট প্রতি মিনিটে বাজা গানের গতির সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে নেচে গিয়েছে ওই ইঁদুরের দল৷ এমনটাই জানাচ্ছেন গবেষকরা। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি ভিডিয়োও শেয়ার করা হয়েছে। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল৷ 

এতদিন মনে করা হত, গানের তাল ধরতে পারা এবং তার সঙ্গে ছন্দ মিলিয়ে নড়াচড়া করার ক্ষমতা কেবল মানুষেরই আছে৷ কিন্তু এবার জানা গেল ইঁদুরেরও তালজ্ঞান আছে৷  প্রতি মিনিটে গানের বিট ১২০ থেকে ১৪০-এর মধ্যে থাকলে ইঁদুররাও ধরে নিতে পারছে গানের তাল৷  ‘‘কোনও প্রশিক্ষণ বা আগের অভিজ্ঞতা ছাড়াই, মিনিটে ১২০ থেকে ১৪০ বিটের গানের সঙ্গে তাল মিলেয়ে দেখিয়েছে ইঁদুরগুলো। ওই একই গতির গানের সঙ্গে তাল মেলাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে মানুষও,” এমনটাই জানিয়েছেন  ইউনিভার্সিটি অফ টোকিয়োর সহযোগী অধ্যাপক হিরোকাজু তাকাহাসি।

তাকাহাশি আরও বলেন, “আমাদের জানা প্রশিক্ষণ বা গান শোনার অভিজ্ঞতা নেই এমন কোনও প্রাণীর মধ্যে তাল সমন্বয়ের অভ্যন্তরীণ সক্ষমতার প্রথম প্রমাণ এটি৷’’

ইয়োস্কির লেখা ‘স্পনটেনিয়াস বিট সিঙ্ক্রোনাইজেশন ইন ব়্যাটস: ন্যাচারাল ডায়নামিকস অ্যান্ড মোটর এন্টারটেইনমেন্ট’ নামক শীর্ষকে বলা হয়েছে, মাথা নাড়ানোর জন্য সর্বোত্তম গতি মস্তিষ্কের ধ্রুবক সময়ের উপর নির্ভর করে (আমাদের মস্তিষ্ক যে গতিতে কোনও কিছুতে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে)৷ যা সমস্ত প্রজাতিতে একই রকম৷