কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বুধবার আদালতে পেশ করা হয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কেও। সকাল থেকেই ব্যাঙ্কশাল আদালতের বাইরে ছিল তৎপরতা। বেলা সাড়ে এগারোটার কিছুটা পর আদালতে চত্বরে ঢোকেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে দেখা মাত্রই প্রশ্ন করতে থাকেন সাংবাদিকরা। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই নিয়ে আসা হয় কল্যাণময়কে। তিনি গাড়ি থেকে নামতেই সাংবাদিকরা তাঁকে ঘিরে ধরে প্রশ্ন করতে থাকেন। এক সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেন, “স্যর, আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ, আপনি অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার জন্য নিয়োগপত্রে সই করেছিলেন৷ আপনি বলছেন, আপনার সই জাল করা হয়েছে। অথচ পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই বিষয়টি জানিয়েছেন।” প্রশ্নটা শেষ করার আগেই আগেই হাত তুলে ওই সাংবাদিকের উদ্দেশে ঘুষি দেখান কল্যাণময়। এই ঘটনার সাক্ষী থাকেন উপস্থিত সকলে৷
আরও পড়ুন- পুজোর আগেই নিয়োগ চান বিচারপতি, SSC ও CBI-কে দ্রুত রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে অসহযোগিতা এবং তথ্য গোপনের অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার এসএসসি’র প্রাক্তন সভাপতিকে গ্রেফতার করে সিবিআই। বিশেষ আদালতের বিচারক ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কল্যাণময়কে সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন৷ একই সঙ্গে হেফাজতে নেওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও এসএসসি’র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহাকেও৷
পার্থ-কল্যাণময় এবং শান্তিপ্রসাদকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় সিবিআই। কার নির্দেশে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল? নিয়োগপত্র নিয়ে তাঁদের ভূমিকা কী ছিল? এমন বহু প্রশ্নের উত্তরের খোঁজে রয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। উত্তর পেতে পার্থ-কল্যাণময়কে আবারও নিজেদের হেফাজতে পেতে চায় সিবিআই। এদিকে, কল্যাণময়ের দাবি, ২০১৮ সালের পর তিনি আর কোনও নিয়োগপত্রে সই করেননি। তাঁর সই নকল করেই দুর্নীতি হয়েছে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>