কলকাতা: ছেলের মৃত্যুর পর চাকরি পেয়েছিলেন বৌমা৷ সেই চাকরি পাওয়ার পর দ্বিতীয়বার বিয়ের পিড়িতেও বসেন তিনি৷ এদিকে অসহায় অবস্থায় দিন কাটছে শাশুড়ির। অসহায় হয়েই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন বৃদ্ধা৷ মামলা ওঠে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে৷ শুনানির পর তাঁর নির্দেশ, আজ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে ৩ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা শাশুড়ির হাতে তুলে দিতে হবে বৌমাকে। পরের দু’ সপ্তাহের মধ্যে আর ২১ হাজার টাকা দিতে হবে তাঁকে৷
আরও পড়ুন- আদালতের দেওয়া সময়সীমা লঙ্ঘন, পর্ষদ সভাপতিকে তলব হাইকোর্টের
ছেলের মৃত্যুর পর বৌমা চাকরি পেলেও কানাকড়িও দেননি শাশুড়িকে৷ অসহায় অবস্থার মধ্য দিন কাটছিল ওই বৃদ্ধার৷ বাঁচার তাগিদেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। অসহায় বৃদ্ধাকে তাঁর প্রাপ্য টাকা বৌমাকে দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত। পাশাপাশি বৌমাকে তীব্র ভর্ৎসনাও করেন বিচারপতি৷ তিনি বলেন, ‘‘আপনার মানসিকতা এরকম হলে ছাত্রদের কি শিক্ষা দেবেন? আমার হাতে ক্ষমতা থাকলে আপনার চাকরি আমি কেরে নিতাম৷’’
ওই বৃদ্ধার নাম দুর্গা বালা মণ্ডল৷ তাঁর ছেলে ছিলেন সরকারি স্কুলের শিক্ষক৷ ২০১৪ সালে ছেলের মৃত্যু হয়৷ ২০১৭ সালে সেই চাকরি পায় তাঁর স্ত্রী৷ কিন্তু সেই টাকায় শাশুড়িকে দেখভাল করেননি তিনি৷ উল্টে চাকরি পাওয়ার পরেই দ্বিতীয় বিয়ে করে নেন তিনি৷ প্রাক্তন শ্বশুর বাড়িতে ওই চাকরির বেতনের একটা অংশ দেননি। এই অভিযোগ শোনার পরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবারই দুর্গা দেবীকে বকেয়া টাকা দিয়ে দিতে হবে৷ বৌমাকে টাকা আনার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ওই মহিলা বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেনেদি স্কুলের কর্মচারী৷ আগামী১১ই জানুয়ারিতে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>