কলকাতা: অনুব্রত মণ্ডলের নামে লটারির টিকিটের মালিকানা আসলে কার? রহস্য সন্ধানে বৃহস্পতিবার সকালেই বীরভূমে পৌঁছন সিবিআই-এর গোয়েন্দারা৷ তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতির লটারি লটারি রহস্য ভেদে বড়শিমুলিয়া গ্রামে পৌঁছন তাঁরা। লটারির মাধ্যমেই গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করা হয়েছে বলে অভিযোগ৷
আরও পড়ুন- রেকর্ড পারদ পতন কলকাতায়! সপ্তাহান্তে জাঁকিয়ে শীত গোটা বাংলায়, বলছে হাওয়া অফিস
লটারি তদন্তে অনুব্রতর নামে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বোলপুরের বড়শিমুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা কটাই শেখ৷ তাঁর দাবি, লটারিতে ১ কোটি টাকা জিতেছিল তাঁর ছেলে শেখ নুর আলি৷ তৃণমূলের লোকজন এসে তাঁদের সেই টিকিট দিয়ে দেওয়ার জন্য হুমকি দেয়৷ ভয়ে সাতদিন গ্রামছাড়া ছিল গোটা পরিবার৷ গ্রামে ফেরার পর জোর করে কেড়ে নেওয়া হয় সেই লটারির টিকিট৷ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নম্বর চাওয়া হলেও প্রথমে টাকা দেওয়া হয়নি৷ পরে ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হয় বলে দাবি অভিযোগকারীর৷
তদন্তে নেমে প্রথম থেকেই সিবিআই-এর তরফে দাবি করা হচ্ছিল, লটারির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে৷ গত বছর ৭ ডিসেম্বর ১ কোটি টাকার লটারি জেতেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি৷ সেইমতো তাঁর অ্যাকাউন্টে টাকাও পৌঁছে যায়৷ লটারির রহস্য ভেদে এর আগে লটারি বিক্রেতাদের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা৷ তাঁরা জানিয়েছিলেন, অনুব্রতকে কোনও লটারির টিকিট বিক্রি করা হয়নি৷ এরই মধ্য বৃহস্পতিবার সকালে শেখ নুর আলির বাড়িতে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল৷ তল্লাশি অভিযান চালিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন৷ এর পর সিবিআই-এর বোলপুর ক্যাম্পে তলব করা হয় শেখ নুর আলিকে৷ সেখানে তাঁকে ও তাঁর দাদাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সিবিআই আধিকারিকরা৷
ঠিক সেই সময় ক্যাম্প অফিসের বাইরে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেনন নুর আলির বাবা৷ তাঁর বক্তব্য, লটারি জেতার পর ১০-১২ জন তাঁর বাড়িতে এসে চড়াও হন৷ চাওয়া হল লটারির টিকিট৷ ভয়ে গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয় গোটা পরিবার৷ টিকিট দেওয়ার পরই গ্রামে ফিরতে পারেন তাঁরা৷ টিকিটের সঙ্গে অ্যাকাউন্ট নম্বরও নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা৷ কিন্তু আজও টাকা মেলেনি বলে দাবি৷ তাঁদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া সেই টিকিটই অনুব্রতকে দেওয়া হয়েছিল কিনা, সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন৷ তবে যাঁরা এসে টিকিট নিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁরা যে গ্রামের লোক নন, সে বিষয়ে নিশ্চিত কটাই শেখ৷
আজ সকালে সিবিআই আধিকারিকরা যখন তাঁর শিমুরালির বাড়িতে গিয়েছিলেন, তখন সত্য কথা বলার সাহস করতে পারেননি নুর আলির বাবা৷ এবার সিবিআই দফতরে এসে সত্যি কথা বলতে চান তিনি৷ সিবিআই মনে করছে, এই নুর-ই আসলে এক কোটি টাকার লটারির বিজেতা। কিন্তু পরে সেই টিকিট পৌঁছে যায় দাপুটে নেতা অনুব্রতের হাতে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>