তিরুপতি: ফের অক্সিজেনের অভাবে করোনা রোগীর মৃত্যু৷ অক্সিজেন না পেয়ে প্রাণ হারালেন অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতির রুইয়া হাসপাতালের ১১ জন করোনা আক্রান্ত রোগী৷ জানা গিয়েছে সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ সাময়িক বিঘ্নিত হয়৷ অক্সিজেন রিলোড করতে পাঁচ মিনিট দেরি হয়ে গিয়েছিল৷ তার মধ্যেই মর্মান্তিক মৃত্যু হল ১১ জনের৷ অক্সিজেনের চাপ কমে যাওয়ার কারণেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিত্তোরের জেলাশাসক৷
আরও পড়ুন- বৃদ্ধ বাবার জন্য আইসিইউ শয্যা খুঁজতে নাজেহাল দৃষ্টিহীন ছেলে!
গোটা দেশ যখন মারণ করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ এবং অক্সিজেন সঙ্কটের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তখন এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল রুইয়া হাসপাতালে৷ সোমবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে৷ স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকরা রোগীদের বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন৷ মৃত রোগীদের পরিবারের দাবি, প্রায় ৪৫ মিনিট ওয়ার্ডে অক্সিজেন সরবরাহ ছিল না৷ যদিও চিত্তোরের জেলাশাসকের বক্তব্য, ‘‘অক্সিজেন রিলোড করতে পাঁচ মিনিট দেরি হয়েছিল৷ সেই সময় অক্সিজেনের চাপ কমে যাওয়ার জেরেই ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পাঁচ মিনিটে অক্সিজেন সাপ্লাই রিস্টোর করা হয়৷ এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে৷ প্রচুর অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে৷ উদ্বেগের কোনও কারণ নেই৷ মেডিক্যাল স্টাফদের তৎপরতায় বড় সড় বিপর্যয় রোধ করা সম্ভব হয়েছে৷’’
আরও পড়ুন- কাশ্মীরি পণ্ডিতের শেষকৃত্যে এগিয়ে এলেন সংখ্যালঘু বন্ধু!
জানা গিয়েছে তামিলনাড়ু থেকে অক্সিজেন ট্যাঙ্কার আসতে দেরি হওয়ায় এই সঙ্কট দেখা দেয়৷ জানা গিয়েছে, ওই হাসপাতালে এক হাজার কোভিড রোগী ভর্তি রয়েছেন এবং তাঁদের জন্য প্রায় ৭০০ জনের চিকিৎসা চলছে আইসিইউ এবং অক্সিজেন বেডে৷ প্রায় ৩০ জন চিকিৎসক তাঁদের দেখভাল করছেন৷ গতকালের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন মোহন রেড্ডি৷ ঘটনার তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি৷ রবিবার হায়দরাবাদে ২ ঘণ্টা অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ থাকার জেরে মৃত্যু হয়েছিল ৭ করোনা রোগীর৷