নিউ ইয়র্ক: কথায় বলে, ‘পহেলে দর্শনধারী, ফির গুণ বিচারী’৷ কিন্তু সব ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য নয়৷ মজবুত সম্পর্কের বুনিয়াদ শুধু রূপের আকর্ষণে টিকে খাকতে পারে না৷ একে অপরের সঙ্গে চিন্তা ভাবনার সামঞ্জস্য থাকাটাও অত্যন্ত জরুরি৷ জানেন কি একটা দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলার আগে সৌন্দর্যের চেয়ে কোন কোন জিনিসগুলির উপর বেশি জোড় দিয়ে থাকে পুরুষরা?
আরও পড়ুন- আজ থেকেই বদলে গেল ৫টি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম! প্রভাব দৈনন্দিন জীবনে!
অ্যাডভেঞ্চারের প্রতি আকর্ষণ- যে সকল মেয়েরা প্রাণ খুলে বাঁচতে জানেন, তাঁদের আদরে ভরিয়ে রাখেন তাঁদের সঙ্গীরাও৷ এর মধ্যে রয়েছে নতুন কিছু করার আগ্রহ, ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা৷ হাইকিং, পর্বতারোহন, স্কাইডাইভিং করার মতো ইচ্ছা৷ আর এই ধরনের দুঃসাহসী মহিলারা নিশ্চিতভাবেই পারফেক্ট প্রেমিকা হয়ে উঠেন৷ সোফায় বসে উল বোনা মেয়েদের থেকে অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মেয়েরা অনেকটাই এগিয়ে থাকেন গার্লফ্রেন্ডের তালিকায়৷ সে যতই সুন্দরী হোক না কেন৷
বোঝদার- কোনও সম্পর্কে মতবিরোধ স্বাভাবিক নয়৷ একগুঁয়েমি সম্পর্ককে আরও দুর্বল করে দেয়৷ সেই কারণেই পুরুষরা এমন মেয়েদের প্রশংসা করে, যাঁরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে সক্ষম৷
আত্মবিশ্বাসী- পুরুষরা নিশ্চিতভাবেই সুন্দরী মেয়েদের পছন্দ করে৷ কিন্তু আত্মবিশ্বাসী মহিলাদের প্রতি তাঁদের আকর্ষণ আরও তীব্র হয়ে ওঠে৷
বিশ্বাস- সম্পর্কের বিষয়টি যখন আসে তখন সঙ্গীর উপর ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালানো যায় না৷ উচিতও নয়৷ ক্রমাগত একজনকে ফোন করা, ডেকে পাঠানো বা তাঁর সঙ্গে কে বা কারা আছে, তাঁর খোঁজ চালানো সম্পর্কে উত্তেজনা এবং অবিশ্বাস তৈরি করে৷
রসিকতা- একজন মেয়ে দারুণ আকর্ষণীয় হতে পারেন৷ কিন্তু যতক্ষণ না তিনি তাঁর সঙ্গীকে হাসাতে পারবেন, তিনি মন ছুঁতে পারবেন না৷ সেন্স অফ হিউমার সম্পর্কের ক্লান্তি সরিয়ে দু’জনের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে তোলে৷
খামতি স্বীকার করে নেওয়ার ক্ষমতা- সুস্থ সম্পর্কের অন্যতম চাবিকাঠি হল একে অপরের খামতি স্বীকার করে নেওয়া ক্ষমতা৷ সমালোচনা নয়, বরং তাঁর খামতিগুলো সঙ্গে নিয়ে চলতে পারবে, এমন মেয়েই পছন্দ করে পুরুষরা৷
অতিনাটকীয়তা নয়- যে সকল মেয়েরা অতিনাটকীয়, তাঁরা সহজে পুরুষের মনে জায়গা করে নিতে পারে না৷ জীবন রোলার কোস্টারের মত৷ কোনও দিন ভালো তো কোনও দিন খারাপ৷ তা বলে ক্ষুদ্র জিনিসকে নিয়ে অতিকায় করে ঝগড়া অশান্তি পছন্দ করেন না পুরুষরা৷ যে সকল মেয়েরা তিলকে তাল করেন না, তাঁরাই রাজ করেন পুরুষ হৃদয়ে৷
আন্তরিকতা- যে সকল মহিলারা আন্তরিক, তাঁদেরই বেশি পছন্দ করেন পুরুষরা৷ শুধু নিজের সম্পর্কে নয়, এই উষ্ণ অভ্যর্থনা, আন্তরিকতা তাঁরা পছন্দ করে বন্ধু মহল ও পরিবারের ক্ষেত্রেও৷
আরও পড়ুন- করোনা টিকা নিতে আপনি তৈরি তো? আছে তো সমস্ত নথি? না থাকলে এক্ষুনি করিয়ে নিন
সৃজনশীলতা- এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে সৃজনশীল মনের মানুষ সম্পর্কের ক্ষেত্রেও অনেক বেশি গ্রহণীয়৷ সৃজনশীলতা প্রতিটি জিনিসকে আকর্ষণীয় করে তোলে৷
সহজেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা- প্রেমিকা যদি সিদ্ধান্ত নিতে না পারে, তা একজন পুরুষের কাছে সবচেয় বিরক্তির বিষয়৷ অনেক সময় কোন রেস্তোরাঁয় খেতে যাবে, সেই সিদ্ধান্তটুকুও তাঁরা নিতে পারেন না৷ তাই যে সকল মহিলারা নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল, তাঁরা কী চাইছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত, সেই ধরনের মেয়েদেরই বেশি পছন্দ করেন পুরুষরা৷