কলকাতা: করোনা কালে লকডাউন পরিস্থিতির জেরে বহু ছাত্রছাত্রীর স্কুলের বেতন বকেয়া পড়ে রয়েছে। সেই বকেয়া বেতনের ন্যূনতম ৫০ শতাংশ আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে অভিভাবকদের মিটিয়ে দিতে হবে৷ যাঁরা বকেয়া বেতন মেটাতে পারবেন না, তাঁদের পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার সুযোগ থাকবে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে যে সকল পড়ুয়ারা দশম বা দ্বাদশ শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন, তাঁদের শংসাপত্র যাতে বোর্ড ইস্যু না করে সেই নির্দেশও কলকাতা হাইকোর্টের তরফে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- ফুরচ্ছে রাজ্য সভাপতি পদের মেয়াদ, দিলীপের বদলে দায়িত্বে কে? জল্পনা তুঙ্গে
আদালত জানিয়েছে, ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বকেয়া বেতনের ন্যূনতম ৫০ শতাংশ না মেটানো হলে, স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করার পদক্ষেপও করতে পারে। তার নাম অনলাইন ক্লাস থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে৷ এমনকী জরিমানাও করতে পারে স্কুল। এর পরেও ন্যূনতম ফি জামা না দিল, স্কুল থেকে পড়ুয়াকে বিতাড়িত করা হতে পারে। এর জন্য আগাম কোনও নোটিশ দেওয়ার দরকার পড়বে না স্কুলের।
বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন আরও বলে, স্কুলের বেতনের ৮০ শতাংশ টাকা দেওয়ার নির্দেশ আগেই দেওয়া হয়েছিল৷ সেই নির্দেশ না মানাটা দুঃখজনক। যদিও অনেক স্কুলের বিরুদ্ধে সার্ভিস না দিয়ে অনেক ক্ষেত্রে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠছে৷ সেই বিষয়টি আগামী শুনানিতে খতিয়ে দেখা হবে। হাইকোর্টের বক্তব্য, করোনা ও লকডাউন পর্বে যেমন বহু পরিবার অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে, তেমনি স্কুলগুলি চালানোর ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক যে, বহু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে অভিভাবকরা সরকারি চাকরি করছেন এবং তাঁদের সচ্ছলতা থাকা সত্ত্বেও ছাত্র-ছাত্রীদের বেতন দিচ্ছেন না৷ অথচ বেতন দেওয়া ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে তাঁরা অর্থ খরচ করছেন৷ যা অত্যন্ত উদ্বেগের এবং দুঃখজনক।