‘একেবারে শরীরের যত্ন নিত না, পরশুও বকাবকি করেছিলাম মানুষটাকে!’, গলা ধরে এল তৃণার

‘একেবারে শরীরের যত্ন নিত না, পরশুও বকাবকি করেছিলাম মানুষটাকে!’, গলা ধরে এল তৃণার

কলকাতা: অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বিনোজন জগত৷ শোকে পাথর তাঁর পরিবার ও সতীর্থরা৷ চার দশক ধরে দর্শকমনে বিরাজ করেছেন অভিষেক৷ একটা সময় অভিনয় জগৎ থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন৷ নতুন করে লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনের দুনিয়ায় ফেরেন ছোট পর্দার হাত ধরে৷ বেশ কয়েকটি ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন তিনি৷ তবে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকে গুনগুনের ‘ড্যাডি’র চরিত্রে। অভিষেক মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছেন গুনগুন (তৃণা সাহা)৷ পর্দায় তিনি ছিলেন অভিষেকের মেয়ে৷ দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে একসঙ্গে কাজ করছেন তাঁরা৷ পর্দার বাইরেও তাঁদের রসায়ন ছিল বাবা-মেয়ের মতোই৷ 

আরও পড়ুন- বিনোদন জগতে নক্ষত্রপতন, প্রয়াত জনপ্রিয় অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়

অভিষেকের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরেই প্রথমসারির এর সংবাদমাধ্যমকে তৃণা বলেন, ‘‘অভিষেকদা পর্দায় আমার ড্যাডি ছিল৷ পর্দার বাইরেও ড্যাডির মতোই ছিল। পরশু দিনও শ্যুটে আমি ওঁকে খুব বকাবকি করেছিলাম। শরীরের একদম যত্ন নিচ্ছিল না।’’ তৃণা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন অভিষেক৷ লিভারের সমস্যাও ছিল৷ অসুস্থতা উপেক্ষা করেই কাজ করে যাচ্ছিলেন৷ তৃণা বলেন,  ‘‘পরশু দিনও সেটে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। আমরা সকাই ওঁকে বিশ্রাম করতে বলি। দুলালদা (লাহিড়ি) যখন ওঁকে ডেকে আনতে যান, তখন অভিষেকদা দুলালদার গায়েই বমি করে দেয়। আমরা ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিই। এই অবস্থায় কালকেও শ্যুট করেছে। মানুষটাকে ফোনে খুব আমি বকাবকি করেছিলাম৷’’