কলকাতা: বিনোদন জগতে নক্ষত্রপতন৷ প্রয়াত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা পরিবার ও টলিউড ইন্ডাস্ট্রি৷
আরও পড়ুন- প্রতিবাদ করলে পুরস্কার মিলবে না, বগটুই নিয়ে কেন চুপ ইন্ডাস্ট্রি? বিঁধলেন শ্রীলেখা
জানা গিয়েছে, গত দু-তিন দিন ধরে পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন অভিনেতা। বুধবার একটি রিয়েলিটি শো-তে অংশ নিয়েছিলেন। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বেশ কয়েকবার বমি হয় তাঁর৷ এর পরেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির কথা বলা হয়৷ কিন্তু তিনি রাজি হননি৷ জানান, বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করাতে চান৷ সেই মতো বাড়িতেই চিকিৎসা শুরু হয়৷ সেখানেই স্যালাইন দেওয়া হয়৷ কিন্তু শেষরক্ষা হল না৷ বৃহস্পতিবার ভোরে বাড়িতেই মৃত্যু হয় অভিনেতার৷
লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনই ছিল তাঁর প্রাণ৷ সেই শ্যুট করতে করতেই চলে গেলেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। বর্তমানে বাড়িতেই রয়েছে অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের পার্থিব শরীর। তাঁর বাড়িতে উপস্থিত রয়েছেন লাবনী সরকার-সহ টলিউডের একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রী। সম্ভবত আজই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের। দীর্ঘদিনের সহকর্মীকে হারিয়ে লাবনী বলেন, “একজন বন্ধু, পরিবার হারালাম। ভাবতেই পারছি না, অভিষেক আর নেই। ওর পরিবারের পাশে থাকতে চাই।”
১৯৬৪ সালের ৩ এপ্রিল জন্ম অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের। বাংলা চলচ্চিত্রজগতে একের পর এক ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি৷ তাঁর প্রথম ছবি পথভোলা। একটা সময়ে চুটিয়ে সিনেমায় কাজ করেছেন৷ আড়াইশো’র বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি৷ তাঁ অভিনীত উল্লেখ্যযোগ্য ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে, মায়ার বাঁধন, জয়বাবা ভোলানাথ, মায়ের আঁচল, গীত সংগীত, সুজন সখী। প্রসেনজিৎ, তাপস পালের যুগে সমানভাবে দর্শকদের মন কেড়েছিলেন তিনি। কিন্তু, মাঝে দীর্ঘদিন অভিনয় থেকে দূরে চলে গিয়েছিলেন। দীর্ঘ বিরতি পর্ব কাটিয়ে ফের ফিরেছিলেন অভিনয়ে৷ ধারাবাহিকে কাজ শুরু করেন। তাঁকে ছোট পর্দায় নিয়ে আসেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়৷ ছোট পর্দায় নতুন করে মন কেড়েছিলেন অভিষেক। কিন্তু, হঠাৎ করেই সব শেষ৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>