মুম্বই: করোনাকালে গরিবের ‘মাসিহা’ হয়ে উঠেছিলেন তিনি৷ বহু মানুষকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তাঁদের পরিবারের কাছে৷ এর পরেও নানা ভাবে তিনি আর্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি৷ কিন্তু সেই ‘মাসিহা’র বিরুদ্ধেই উঠল কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ৷ আয়কর দফতরের তরফে শনিবার একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ২০ কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়েছেন অভিনেতা সোনু সুদ৷ গত তিন দিন ধরে সনুর বাড়ি ও দফতরে হানা দিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা৷
আরও পড়ুন- মনে আছে সলমনের সেই নায়িকাকে? ৫২-তেও স্টানিং ভাগ্যশ্রী, দেখলে চমকে যাবেন
অভিযোগ, বিভিন্ন ক্রাউডফান্ডিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রায় ২.১ কোটি টাকা তুলেছে সোনু সুদের এনজিও৷ যা ফরেন কন্ট্রিবিউশন (রেগুলেশন) আইনের লঙ্ঘনের সামিল৷ এর পরেই শুরু হয় তল্লাশি৷ বুধবার প্রথমে সোনুর দফতরে হানা দেয় আয়কর দফতরের আধিকারিকরা৷ পরদিন তল্লাশি চলে তাঁর বাড়িতে৷ পাশাপাশি গত কয়েক দিন ধরে দিল্লি, মুম্বই, কানপুর, জয়পুর, লখনউ এবং গুরুগ্রামের মোট ২৮টি জায়গায় একযোগে কয়েক ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালানো হয়েছে৷ এর পরেই অভিনেতার বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ হাতে আসে এবং কর ফাঁকির অভিযোগ আনেন অফিসাররা৷
আয়কর দফতর জানিয়েছে, রোজগারের নির্দিষ্ট অংশ লুকাতে চেয়েছিলেন সোনু৷ তাই আয়ের সেই অংশ বেনামী সংস্থার কাছ থেকে ভুয়ো ঋণ হিসাবে দেখানো হত। তদন্তে নেমে আয়কর দফতরের অফিসাররা অভিনেতার বিরুদ্ধে এই ধরণের ২০টি বেনামী লেনদেনের হদিশ পেয়েছেন৷ এমনকী যাঁদের কাছ থেকে এই ভুয়ো ঋণ নেওয়া হয়েছে, জেরার মুখে তাঁরা জালিয়াতির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন৷ তাঁরা আরও জানিয়েছেন, নগদ টাকা নয়, বদলে চেক ইস্যু করা হয়েছে৷ কর ফাঁকি দিতে অর্জিত টাকা হিসাবের খাতায় ঋণ হিসাবে দেখানো হয়েছে।
সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডায়রেক্ট ট্যাক্সেস (CBDT)-এর তরফে জানানো হয়েছে, ১লা এপ্রিল ২০২১ থেকে এখনও পর্যন্ত মাত্র এই কয়েক মাসে মোট ১৮.৯৪ কোটি টাকা অনুদান হিসাবে সংগ্রহ করেছে সোনু সুদের সংস্থা৷ যার মধ্যে সমাজ সেবার জন্য ব্যয় হয়েছে মাত্র ১.৯ কোটি টাকা৷ বাকি ১৭ কোটি টাকা জমা পড়েছে ফাউন্ডেশনের অ্যাকাউন্টে৷ তল্লাশি অভিযান চালিয়ে সোনুর অফিস থেকে নগদ ১.৮ কোটি টাকা বাজেয়াপ্তও করেছেন অফিসাররা৷ পাশাপাশি সোনুর সংস্থার ১১টি লকার সিজ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এগুলি বন্ধই থাকবে৷