Aajbikel

মুখ্যমন্ত্রীর সামনে 'গেরুয়া' গাওয়াতেই কি বাতিল কনসার্ট? ইকো পার্কে অরিজিৎ-এর কনসার্টে 'না'

 | 
অরিজিৎ

কলকাতা: ফেব্রুয়ারি মাসে ইকো পার্কে অরিজিৎ সিংয়ের কনসার্টে অনুমতি মিলল না৷ শীতের আমেজে এমনিতেই ইকো পার্কে ভিড়, সেই সঙ্গে জি২০ সম্মেলন৷ আইনশৃঙ্খলার কারণেই অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয় বলে কারণ দর্শাল রাজ্য সরকার৷ যদিও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলছেন, উদ্যোক্তারা কোনও অনুমতিই চায়নি৷ কোনও আবেদন জানানো হয়নি হিডকো’র কাছে৷ হিডকোর তরফেও কোনও রকম আবেদনপ্তর দেওয়া হয়নি৷ তবে এর সঙ্গে রাজনীতির রং চড়িয়েছে বিজেপি৷ মুখ্যমন্ত্রীর সামনে ‘রং দে তু মোহে গেরুয়া’ গান গাওয়াতেই কি শো বাতিল? ‘গেরুয়া’ গানের প্রসঙ্গ তুলে প্রশ্ন বিজেপি’র৷ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলল গেরুয়া শিবির৷ 

আরও পড়ুন- ঐন্দ্রিলা অভিনীত শেষ ওয়েব সিরিজে তাঁর জায়গায় কে? প্রকাশ্যে পোস্টার

রাজ্যের পুর ও নগোরোন্নয়ন মন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি ফিরহাদ হাকিম হিডকোর চেয়ারম্যানও৷ অরিজিতের শো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে অরিজিতের যে শো হওয়ার কথা রয়েছে, সেই শোয়ের জন্য কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি হিডকোর কাছে৷ হিডকোর অনুমতি না নিয়ে কী ভাবে টিকিট বিক্রি করা হল? পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন হিডকোর চেয়ারম্যান৷ যাঁরা টিকিট কেটেছেন, তাঁরা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলে উদ্যোক্তাদের গ্রেফতারও করা হতে পারে৷ ফিরহাদ হাকিম আরও বলেন, সেই সময় জি ২০ সম্মেলনের প্রস্তুতি চলবে৷ সেই সঙ্গে শীতকালে ইকো পার্কে ভিড়ও থাকবে অনেক বেশি৷ পুলিশ মনে করছে সেই সময় বড় কোনও শো হলে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হবে৷ সেই কারণেই এই শোয়ের অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়৷ 


প্রসঙ্গত, ইকো পার্কে কোনও অনুষ্ঠান করতে হলে হিডকোর কাছে অনুমতি নিতে হয়৷ কিন্তু এক্ষেত্রে অনুমতি চাওয়া হয়নি এবং হিডকোর তরফে কোনও অনুমতি পত্রও দেওয়া হয়নি৷ ফলে ইকো পার্কে অরিজিতের শো হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই৷ পুরমন্ত্রী আরও জানান, উদ্যোক্তারা ইতিমধ্যে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁদের দুটি বিকল্প জায়গার কথা বলা হয়েছে৷ সেখানে শো করতে চাইলে অনুমতি দেওয়া হলেও হতে পারে৷ 


এ প্রসঙ্গে বঙ্গ বিজেপি’র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘অসৌজন্যের সরকার৷ এই সরকারের মতো আরও কোনও অসহিষ্ণু সরকার দেশে নেই৷ প্রজাপতি কি পাখনা মেলে জি২০ বৈঠকে চলে যেত নরেন্দ্র মোদীর পাশে বসার জন্য? নন্দনে কেন প্রজাপতি প্রদর্শিত হল না? তৃণমূল সরকার কোনও রকম বিরোধিতা এমনকী অন্য কারও প্রশংসা শুনতেও অভ্যস্ত নয়৷ এই অসহিষ্ণুতা থেকে রাজ্যকে মুক্তি পেতে হবে৷ প্রতিহিংসার অবসান হোক৷’’ 


 

Around The Web

Trending News

You May like