Aajbikel

কেকে-কে সুরেলা শ্রদ্ধার্ঘ্য রূপঙ্করের, 'প্রায়শ্চিত্তের ব্যর্থ প্রচেষ্টা' কটাক্ষ নেটিজেনদের

 | 
রূপঙ্কর

 কলকাতা:  দেড় মাস অতিক্রান্ত৷ কেকে নেই৷ কিন্তু, এখনও বলিউডের জনপ্রিয় শিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নাথকে নিয়ে মন্তব্যের জেরে  কোণঠাসা রূপঙ্কর বাগচি৷ ‘হু ইজ কেকে ম্যান?’- রূপঙ্করের ঔদ্ধত্যপূর্ণ এই মন্তব্য  এখনও কাঁটার মতো বিঁধে রয়েছে বাঙালির হৃদয়ে৷ এর কড়া জাবাবও অবশ্য দেওয়া হয়েছে তাঁকে৷ কেকে-র প্রয়াণের দেড় মাস পরেও কার্যত বয়টক রূপঙ্কর৷ এমতাবস্থায় যে শিল্পীকে তাচ্ছিল্যের সুরে চরম ‘অপমান’ করেছিলেন, সেই শিল্পীকেই গানে গানে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানালেন রূপঙ্কর৷ কিন্তু, তাতেও যেন প্রায়শ্চিত্য হল না তাঁর৷ নেটিজেনদের কটাক্ষের শিকার হতে হল জাতীয় পুরস্কারজয়ী এই শিল্পীকে৷ 

আরও পড়ুন- ওঁর জন্যই ৪৭ থেকে ৭৫ হয়েছিলাম! যশকে দুষলেন নুসরত


সম্প্রতি এক বেসরকারি চ্যানেলে সকালের অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন রূপঙ্কর৷ সেখানেই কেকে-র প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান গায়ক। কেকে-র গাওয়া ‘মাই ব্রাদার নিখিল’ ছবির জনপ্রিয় গান ‘লে চলে’ গানটি গেয়ে শোনান তিনি। মুহূর্তের মধ্যেই নেটপাড়ায় ভাইরাল হয়ে যায় সেই গানের ভিডিয়ো। ঝড় ওঠে মন্তব্যের৷ কেউ লিখলেন ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা’৷ কেউ বলছেন, ‘প্রায়শ্চিত্তের ব্যর্থ প্রচেষ্টা’। গান শুরুর আগে রূপঙ্কর বলেন, ‘অসাধারণ গান, অসাধারণভাবে গাওয়া গান… অনেকদিন আগে গাইতাম এই গান’। এই মন্তব্য শোনার পরেই নেটিজেনজের কটাক্ষ, ‘উনি না কেকে-কে চিনতেন না। তাহলে এই গান গাইতেন কী করে?’ অনেকে তো আবার সরাসরি তাঁর গায়েকীকে নিশানা করে লিখেছেন, ‘খুব বাজেভাবে গেয়েছেন, এর পরেও উনি কেকে-র মতো পরিচিতি চান?’


কেকে-র মৃত্যুর পর থেকেই কার্যত কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয় রূপঙ্করকে। যদিও আগেই ক্ষমা চেয়ে শিল্পী জানিয়েছিলেন, ‘নিজের বক্তব্যের মধ্যে নিজেকে খুঁজে পাইনি, পেয়েছিলাম ঔদ্ধত্যকে।' রূপঙ্কর বারবার ক্ষমতা চেয়েছেন৷ নিজের ভুল মেনে নিয়েছেন৷ মানুষের মনে জমে থাকা মেঘ কবে সরে, এখনও শুধু তারই অপেক্ষা৷  


কেকে এর মৃত্যুর পর চরম আক্রোশের মুখে পড়ে রূপঙ্কর বলেছিলেন, "আমার একটি লাইভ ভিডিয়ো গোটা পরিবারকে এভাবে চরম আতঙ্ক, দুর্ভাবনা, নিপীড়নের দিকে ঠেলে দেবে তা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। আমার বাড়ির বাইরে পাহাড়া দেবে টালা থানার পুলিশ! নিয়ত হুমকি এসেই যাবে আমার স্ত্রীর ফোনে। গায়ক হিসেবে দেশে বিদেশে বহু মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, স্বীকৃতি পেয়েছি। মুহূর্তের অসতর্কতা এই রকম গনগনে এবং মারমুখি আবেগ বয়ে আনবে কে তা জানত! এত ঘৃণা, এত আক্রোশ! এটা জন্য কারণ আমি আমার বক্তব্য গুছিয়ে বলতে পারিনি।" 

Around The Web

Trending News

You May like