ওঁর জন্যই ৪৭ থেকে ৭৫ হয়েছিলাম! যশকে দুষলেন নুসরত

ওঁর জন্যই ৪৭ থেকে ৭৫ হয়েছিলাম! যশকে দুষলেন নুসরত

কলকাতা:  টলিউডের বিতর্কিত নায়িকা হিসাবে প্রথম সারিতেই রয়েছে তাঁর নাম৷ ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে বরাবরই শিরোনাম কেড়েছেন তিনি৷ সহবাস সঙ্গী নিখিলের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্ক এবং তাঁর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়া৷ প্রতিটি মুহূর্তে তিনি ছিলেন চর্চার কেন্দ্র বিন্দুতে৷ গত বছর অগাস্ট মাসে তাঁর কোল আলো করে আসে ছোট্ট ঈশান। কিন্তু তার জন্মের আগে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে উঠেছিল ঈশানের বাবা কে? যশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে চলেছে তুমুল চর্চা। গত বছর টলিপাড়া ছিল তাঁদের নিয়েই সরগরম৷ কিন্তু  যশের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক নুসরতের, ঈশানের জন্মের সময় কতটা ওজন বেড়েছিল তাঁর, সব কিছু নিয়েই অকপট নুসরত জাহান।

আরও পড়ুন- কহো না প্যার হ্যায়-এর সুরে সাগর পাড়ে নীলের সঙ্গে রোম্যান্সে মগ্ন তৃণা, নস্ট্যালজিয়ায় নেটিজেনরা

গত বছর যখন তাঁদের নিয়ে সবচয়ে বেশি চর্চা, তখন একপ্রকার মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন যশ-নুসরত জুটি৷ যাবতীয় বিতর্ক ভুলে একে অপরের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটাতেই ব্যস্ত ছিলেন তাঁরা৷ সম্প্রতি সর্বভারতীয় এক দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রসব পরবর্তী অবসাদ ও তাঁদের সংসার জীবন নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন নুসরত।

নুসরত বলেন, “আসলে মা হওয়ার মুহূর্তগুলো পুরোদমে উপভোগ করেছি। ছেলের জন্মের পরেই কাজে ফেরার বিষয়ে রাজি ছিলেন না যশ ও আমার মা-বাবা। ওঁদের মনে হয়েছিল আমি নিজের স্বাস্থ্যের কথা ভাবছি না। তবে আমার কাছে তখন মানসিক স্বাস্থ্যটা বেশি জরুরি ছিল। তাই প্রথমে অল্প সময়ের জন্য কাজ করতে শুরু করি। কাজে যেতাম, ফিরে এসে ঈশানকে খাওয়াতাম, ফের কাজে বেরিয়ে যেতাম। এটা আমার কাছে চ্যালেঞ্জিং ছিল৷ তবে অসম্ভব নয়৷ প্রসব-পরবর্তী ডিপ্রেশনের কাছে আমি হার মানিনি”।

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বেশ অনেকটা ওজেন বেড়ে গিয়েছিল নুসরতের৷ কীভাবে ছেলের জন্মের তিনমাসের মধ্যে স্লিম হয়ে গেলেন? 

নুসরতের কথায়, ‘‘আমি যখন অন্তঃসত্ত্বা হই তখন আমার ওজন ছিল ৪৭ কেজি৷ যখন আমি আট মাসের গর্ভবতী তখন আমার ওজন বেড়ে হয় ৭৫ কেজি! এই সময় ‘ক্রেজি’ হরমোনের শিকার হয়েছিলাম। আর এর জন্য সারাক্ষণ আমি যশকেই দুষতাম৷ বলতাম তোমার জন্যই আমার ওজন বেড়েছে।’’ নুসরত এও বলেন,‘‘তবে যশ আমাকে কথা দিয়েছিল চিকিৎসক অনুমতি দিলেই ওয়ার্কআউট করতে আমাকে সাহায্য করবে আর আগের শেপে ফিরিয়ে দেবে। এখন গর্বের সঙ্গেই বলতে পারি যে, আমি আগের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী আর ফিট৷ আমরা একসঙ্গেই ওয়ার্ক আউট করি৷ আমাদের জীবনের একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে  জিম৷ যশও এটা মানতে বাধ্য হবে যে, আমিই ওঁর সবচেয়ে বাধ্য ছাত্রী।”

যশের সঙ্গে সর্বাঙ্গিক ভাবেই খুশি সাংসদ অভিনেত্রী৷ তাই তো স্বামী হিসাবে যশকে ১০ এ ১০ দিতে প্রস্তুত তিনি৷ কিন্তু বাবা হিসাবে কত নম্বর দেবেন? বাবা হিসেবে যশকে নম্বর দিতে নারাজ নুসরত৷ তাঁর কথায়, ‘আমার নিজেদের মধ্যে কাজ ভাগ করে নিয়েছি৷ তাই নিজেদের জন্য সময়ও বার করে নিই।”