মুম্বই: টানা তিন দিন ধরে জেরার পর গতকাল দুপুরে রিয়া চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করে নারকোটিক্স কনট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)৷ মাদক যোগে গ্রেফতার হওয়ার পর রিয়ার প্রথম রাত কাটে এনসিবি’র লক আপে৷ এদিন সকালে মুম্বইয়ের বাইকুল্লা জেলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে৷ ১৪ দিন বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখা হয়েছে রিয়াকে৷ তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ায় আগামী দুই সপ্তাহ বাইকুল্লাই হবে রিয়ার ঠিকানা৷
আরও পড়ুন- শিবসেনার রোষানলে পড়ার পরিণাম? কঙ্গনার অফিস ভাঙার তোড়জোড় BMC'র
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ৮৭ দিনের মাথায় গ্রেফতার হন রিয়া৷ জানা গিয়েছে, গতকাল রাত ১২টা নাগাদ ভাই শৌভিকের সঙ্গে একই টেবিলে বসে রাতের খাবার খান তিনি৷ তাঁদের মধ্যে খুবই সাধারণ কিছু কথাবার্তা হয়৷ কোনও গুরুতর বিষয়ে আলোচনা হয়নি৷ তাঁরা একে অপরকে আশ্বস্ত করেন বলেই সূত্রের খবর৷ ভাইকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন রিয়া৷ ভাইকে জড়িয়ে খাবার টেবিলে কান্নায় ভেঙে পড়েন অভিনেত্রী৷ সকাল হতেই রিয়াকে নিয়ে যাওয়া হয় বাইকুল্লার মহিলা জেলে৷ এই জেলে রয়েছে হাইপ্রোফাইল কয়েদিরা৷ রয়েছেন শিনা বোরা হত্যা মামলার অপরাধী ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়৷ রিয়ার বিরুদ্ধে সুশান্তকে মাদক জোগানের অভিযোগ রয়েছে৷ মাদক আইনের একাধিক ধারায় এই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ এরমধ্যে রয়েছে এনডিপিএস অ্যাক্টের ৮, ২০, ২২, ২৭এ, ২৮ ও ২৯ নম্বর ধারা।
আরও পড়ুন- ‘আমার মরে যাওয়া উচিত’, রিয়ার জেল-যাত্রায় বললেন হতাশ বাবা
সুশান্তের প্রাক্তন দুই কর্মী স্যামুয়েল মিরান্ডা এবং দীপেশ সাওয়ান্তের মাধ্যমে অভিনেতার জন্য মাদকের বন্দোবস্ত করতেন রিয়া এবং তাঁর ভাই শৌভিক৷ জেরার মুখে সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন রিয়া৷ গত ১৪ জুন বান্দ্রার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ৷ তাঁর সঙ্গে লিভ ইন রিলেশনে ছিলেন রিয়া চক্রবর্তী৷ তিনি সুশান্তকে মাদক জোগালেও আদালেত এনসিবির তরফে যে সমস্ত কাজগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে, তাতে রিয়া মাদক নিতেন বলে কোথাও উল্লেখ নেই। মাদক কেনা ও সুশান্তকে তা সরবরাহ করার অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে রিয়ার।