মুম্বই: বলিউড অভিনেতা কঙ্গনা রানাউত এবং ক্ষমতাসীন শিবসেনার মধ্যে এখন চাপানউতোর চলছে। কখনও মুম্বই পুলিশকে নিয়ে কঙ্গনার উক্তি, কখনও আবার মুম্বইকে নিয়ে তাঁর বক্তব্য রাজ্যের শাসকদলের ক্ষোভের কারণ হয়েছে। এরই মধ্যে মৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন মুম্বইয়ে অভিনেত্রীর অফিসে একটি অবৈধ নির্মাণ ধ্বংস করতে চলেছে। সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিএমসির একজন প্রবীণ কর্মকর্তা বলেছিলেন, “আমরা তাঁকে নোটিসের জবাব দেওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছি। কিন্তু তিনি কোনও উত্তর দেননি।” এই কর্মকর্তা বলেন, কঙ্গনা রানাউতের অফিসের অভ্যন্তরে বেশ কয়েকটি অবৈধ ও অননুমোদিত নির্মাণ কাজ রয়েছে এবং সেই কারণেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কঙ্গনা রানাউত পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের সঙ্গে মুম্বইকে তুলনা করার পরে সেনা নেতা সঞ্জয় রাউত তাঁর বিরুদ্ধে একহাত নিয়েছিলেন। তারপরই কঙ্গনা রানাউতকে পাঠানো হয় ওই নোটিসে। সেখানে বলা হয়েছে:
১) নিচতলায় শৌচাগার অবৈধভাবে অফিসের কেবিনে রূপান্তরিত করা হয়েছে।
২) নিচতলায় স্টোর রুমে অননুমোদিত রান্নাঘরে তৈরি হয়েছে।
৩) স্টোরের অভ্যন্তরে সিঁড়ির পাশে এবং নিচতলায় পার্কিংয়ে অন্য একটি শৌচাগার অবৈধভাবে নির্মিত করা হয়েছে।
৪) নিচতলায় নির্মিত পেন্ট্রির কোনও অনুমোদন নেই।
৫) প্রথম তলায় লিভিং রুমে তৈরি কাঠের পার্টিশন সহ কক্ষ / কেবিন অননুমোদিত।
৬) প্রথম তলায় পুজোর ঘরে কাঠের পার্টিশন সহ মিটিং রুম / কেবিনেরও অনুমোদন নেই।
৭) প্রথম তলায় ইটের ডিজাউনের দেওয়াল এবং স্ল্যাব সহ উন্মুক্ত চৌকিতে অননুমোদিত শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে।
৮) দ্বিতীয় তলায় সম্মুখ স্ল্যাব অনুভূমিক প্রসারিত হওয়ার অনুমতি নেই।
৯) ৪ নম্বর বাংলোর সঙ্গে ৫ নম্বর বাংলোর দ্বিতীয় তলায় পার্টিশন ভেঙে ফেলা হয়েছে অনুমতি না নিয়েই।
১০) সংলগ্ন বেডরুমের টয়লেট (৪ নম্বর বাংলো) ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং একই ক্ষেত্রটি দ্বিতীয় তলায় বাসযোগ্য অঞ্চল হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে যার অনুমতি নেই।
১১) প্রধান প্রবেশদ্বারের অবস্থান পরিবর্তিত হয়েছে অনুমতি না নিয়েই।
আরও পড়ুন: ‘আমার মরে যাওয়া উচিত’, রিয়ার জেল-যাত্রায় বললেন হতাশ বাবা
এদিকে, কঙ্গনা রানাউত একটি টুইট বার্তায় বলেছেন, “আমি বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে মুম্বই দর্শনের জন্য প্রস্তুত। মহা সরকার এবং তাদের গুন্ডারা আমার সম্পত্তি অবৈধভাবে ভেঙে ফেলার জন্য তৈরি হয়েছে। আমি মহারাষ্ট্রের গর্বের জন্য রক্ত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। এটি কিছুই নয়। তবে এর ফলে আমার আত্মা উচ্চ ও উচ্চতর পর্যায়ে পৌঁছবে।” বিএমসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে তাঁরা ধ্বংসের জন্য প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা এবং ডকুমেন্টেশনগুলি সম্পন্ন করছেন এবং শীঘ্রই অবৈধ কাঠামোটি ভেঙে ফেলার জন্য কঙ্গনা রানাউতের বাড়ি পৌঁছে যাবেন। বিএমসি টিম এই সম্পত্তিটি জরিপ করে অফিসের গ্রাউন্ড এবং প্রথম তলায় অনেক অননুমোদিত নির্মাণ দেখতে পেয়েছে। এই উল্লিখিত অফিসটি মণিকর্ণিকা প্রোডাকশনের মালিক কঙ্গনা রানাউতের। সম্ভবত কঙ্গনা রানাউত মুম্বাইয়ে নামার আগেই তার অফিসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।