মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলায় মাদক যোগে রিয়া চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করেছিল নারকোটিকস কন্ট্রোল বুরো (এনসিবি)। মঙ্গলবার ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ ফুরচ্ছে তাঁর৷ সুশান্তকে মাদক সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে রিয়ার বিরুদ্ধে৷
আরও পড়ুন- সংসদে গান্ধীগিরি, রাতভর ধর্নায় বসা ৮ সাংসদকে চা খাওয়ালেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান
টানা তিনদিন জেরার পর গত ৮ সেপ্টেম্বর রিয়াকে গ্রেফতার করে এনসিবি৷ দোষী সাব্যস্ত হলে দশ বছর পর্যন্ত জেলে হতে পারে রিয়ার৷ এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া বাকি অভিযুক্তদের বয়ানের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় ২৮ বছরের এই অভিনেত্রীকে৷ ভাই শৌভিকের মুখোমিখি বসিয়েও জেরা করা হয় তাঁকে৷ মুখোমুখি বসানো হয় সুশান্তের ম্যানেজার স্যামুলেয় মিরান্ডা এবং তাঁর বাড়ির পরিচারক দীপেশ সাওয়ান্তের সঙ্গেও৷ বার বার প্রশ্নের মুখে পড়ে এনসিবির সামনে রিয়া বলেন, ‘‘আমি যা করেছি, তা সবই সুশান্তের জন্য।’’ অন্যদিকে এনসিবি-র দাবি, জেরায় রিয়া স্বীকার করে নিয়েছেন তিনিই সুশান্তকে মাদকের জোগান দিতেন। রিয়া ড্রাগ সিন্ডিকেটের সদস্য বলেও দাবি এনসিবি’র৷
গ্রেফতার হওয়ার পর গত জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন রিয়া৷ তবে তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে বিশেষ আদালত জানায়, রিয়াকে জামিন দেওয়া হলে তিনি তথ্য প্রমাণ নষ্ট করতে পারেন৷ রিয়ার বিরুদ্ধে এনিপিএস আইন, ১৯৮৫-র একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে৷ ৮সি, ২০ বি, ২২, ২৭এ ও ২৯ ধারা আনা হয়েছে রিয়ার বিরুদ্ধে৷
আরও পড়ুন- সুশান্তের মৃত্যুতে পাকিস্তানি যোগ! কেঁচো খুঁড়তে কেউটের সন্ধান এনসিবির
গত ১৪ জুন বান্দ্রার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ৷ প্রথমে এই ঘটনার তদন্তের ভার ছিল মুম্বই পুলিশের হাতেই৷ পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেই মামলায় রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে মাদকযোগের কথা উঠে এলে, আলাদা করে তদন্ত শুরু করে এনসিবি। দফায় দফায় জেরার পর গ্রেফতার করা হয় রিয়ার ভাই শৌভিক ও সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকে৷ গ্রেফতার হন সুশান্তের হাউজ হেল্প দীপেশও। গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় ১২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে৷