বিচ্ছেদের পরেও ছিল টান! হুবহু রবীনার মতো দেখতে মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ‘খিলাড়ি’!

বিচ্ছেদের পরেও ছিল টান! হুবহু রবীনার মতো দেখতে মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ‘খিলাড়ি’!

 মুম্বই: নব্বইয়ের দশকে বি-টাউনে ঝড় তুলেছিল অক্ষয় কুমার আর রবীনা ট্যান্ডনের জুটি। পর্দায় তো বটেই, তার বাইরেও তাঁরা ছিলেন পেজ থ্রি-র শিরোনামে। অক্ষয়-রবীনার রসায়ন ছিল সে সময়ের হট কেক৷ এত বছর পরেও তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে অনেক গুঞ্জন থেকে গিয়েছে৷

আরও পড়ুন- পোশাক দিয়ে অঙ্গ ঢাকায় ঘোর অবিশ্বাসী! দুষ্টু ওয়েবসাইটেও ভিডিয়ো দেন রমানন্দ সাগরের নাতনি

১৯৯৪ সালে মুক্তি পায় ‘মোহরা’৷ ওই ছবির ‘টিপ টিপ বরসা পানি’ গানটির কথা মনে আছে নিশ্চয়৷  উদিত নারায়ণ এবং অলকা যাজ্ঞিকের কণ্ঠ যেমন গানটিকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিল, তেমনই ওই গানের দৃশ্যে অক্ষয় কুমার এবং রবীনা ট্যান্ডনের রসায়ন দর্শকের মনে দাগ কেটেছিল৷ 

রবীনা অক্ষয়

‘মোহরা’ ছবির শুটিংয়ের পর থেকেই মায়ানগরীতে কানাঘুষো শুরু হয় অক্ষয়-রবীনার সম্পর্ক নিয়ে। শোনা গিয়েছিল, প্রেমপর্ব চলাকালীন রবীনাকে নাকি বাগ্‌দানের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন বলিউডের ‘খিলাড়ি’। মাখোমাখো প্রেমের পরেও এক হয়নি অক্ষয়-রবীনার চার হাত৷ পরে বলি অভিনেত্রী টুইঙ্কল খান্নার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন অক্ষয়। অন্যদিকে, অনিল ঠাডানির সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন রবীনা।

রবীনা অক্ষয়

অক্ষয় এবং রবীনার বিচ্ছেদের পরেও তাঁদের রসায়ন নিয়ে বলিপাড়ায় কম আলোচনা হয়নি। মাঝেমধ্যে প্রাক্তনকে ঘিরে প্রশ্নের সম্মুখীনও হতে হয় অভিনেত্রীকে৷ তবে রবীনার কোনও বিষয়েই তেমন রাখঢাক নেই৷ পর্দায় ধর্ষণের দৃশ্য নিয়ে আলোচনা থেকে তাঁর প্রতি বিদ্রুপ নিয়ে আলোচনা— খোলামেলা ভাবেই উত্তর দিয়েছেন অভিনেত্রী। কিন্তু অক্ষয়ের সঙ্গে বাগ্‌দান পর্ব নিয়ে আলোচনা করার সময় মুখ গম্ভীর হল তাঁর৷ 

সম্প্রতি এএনআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অক্ষয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। কারণ আজও বলিউডে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে চর্চা চলে। এদিন তাঁদের সম্পর্কের কিছু ব্যক্তিগত দিক তুলে ধরেন অভিনেত্রী। রবীনা জানান, সম্পর্কে থাকাকালীন অক্ষয় তাঁকে বলেছিলেন, কেরিয়ার এবং সম্পর্কের মধ্যে যে কোনও একটি বেছে নিতে হবে৷ তাঁদের বাগ্‌দান পর্ব ভেঙে যাওয়ার ঘটনা নায়িকার জীবনে যে গভীর ছাপ ফেলেছিল, তা কারও অজানা নয়৷ আজও সেই ক্ষত চিহ্ন বয়ে বেড়ান রবীনা। সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী নিজে সেই কথা ব্যক্ত করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘কলেজে পড়াকালীন মেয়েরা একের পর এক সম্পর্কে জড়ায়। জীবনে বহুবার প্রেমিক বদল হয়। মানুষের জীবনের ধর্মই হল, অতীত ভুলে এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু, আমার মন কিছুতেই বাগ্‌দানের ঘটনা থেকে বেরোতে পারে না।’’

রবীনা

রবীনার কথায়,  ‘মোহরা’র পর আমাদের জুটি বিখ্যাত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, আমাদের সম্পর্কের কথা যখন জানাজানি হল, তখন অক্ষয়ের সঙ্গে যাঁরা জড়িত ছিলেন তাঁদের মধ্যে যেন যুদ্ধ লেগে গিয়েছিল।’ নায়িকার দাবি, অক্ষয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি অন্য এক জনকে ডেট করতেন।  অক্ষয়ও অন্য এক জনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। তবে অক্ষয় এবং তাঁর মধ্যে হিংসার কোনও জায়গা ছিল না৷ এখনও কোনও অনুষ্ঠানে দেখা হলে তাঁরা ভালোভাবেই কথা বলেন৷ 

তবে রবীনার কথায়, অক্ষয় একেবারেই ভরসার যোগ্য ছিলেন না৷ কারণ অক্ষয়ের মন বেশি দিন এক জায়গায় টিকত না৷ নায়িকার দাবি, অক্ষয় নাকি যে মেয়েকেই সামনে দেখতেন, সেই মেয়েকেই প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বসতেন। তাঁর এই স্বভাবের জন্যেই অনেকেই রবীনাকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন,  পর্দার বাইরেও অক্ষয় কত বড় ‘খিলাড়ি’ ছিলেন, তা নাকি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলেন নায়িকা।

তবে সাক্ষাৎকারে অক্ষয় প্রসঙ্গে এক সাংঘাতিক মন্তব্য করেছেন অভিনেত্রী। রবীনা জানান, তাঁর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অক্ষয় নাকি তাঁর মতো দেখতে মহিলাদের খুঁজে বেড়াতেন। এমনকি, হুবহু রবীনার মতো দেখতে এক মহিলার সঙ্গে কয়েক দিনের জন্য সম্পর্কেও ছিলেন বলিউডের ‘খিলাড়ি’৷