Aajbikel

পোশাক দিয়ে অঙ্গ ঢাকায় ঘোর অবিশ্বাসী! দুষ্টু ওয়েবসাইটেও ভিডিয়ো দেন রমানন্দ সাগরের নাতনি

 | 
রামায়ণ

মুম্বই: আশির দশকে ছোট পর্দায় ঝড় তুলেছিল ‘রামায়ণ’৷ ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছিল রমানন্দ সাগরের এই আধ্যাত্মিক ধারাবাহিক৷ যেখানে শ্রীরাম, সীতা, লক্ষ্মণ সহ ধারাবাহিকের অন্যান্য কুশীলবদের দেওয়া হয়েছিল রাজবেশ৷ মাথায় সোনালি মুকুট, গলায় মণিমাণিক্যের মালা।  রাম, লক্ষণ এবং সীতার চরিত্রে অরুণ গোভিল, সুনীল লহরী ও দীপিকা চিখলিয়া হয়ে উঠেছিলেন পরিবারের সদস্য৷ পরিচালক রামায়ণের সকল অভিনেতা-অভিনেত্রীদের এমন আঙ্গিক এবং বেশভূষায় সাজিয়েছি তুলেছিলেন যে, অরুণ-সুনীল-দীপিকাকে রাস্তায় দেখতে পেলেই তাঁদের পায়ে পড়ে একবার মাথা ঠুকে নিতেন ভক্তেরা। পর্দায় তাঁদের পোশাকে ছিল শালীনতার ছাপ৷ রমানন্দের ছোঁয়ায় পর্দার রাম-লক্ষণ-সীতা-হনুমান হয়ে উঠেছিলেন ভক্তদের কাছে সত্যিকারের দেবদেবী। কিন্তু সেই রমানন্দের নাতনিই বিন্দমাত্র বিশ্বাসী নন পোশাক দিয়ে অঙ্গ ঢাকায়!

আরও পড়ুন- দিল্লিতে সিড-কিয়ারা, শ্বশুরবাড়ি পৌঁছতেই উষ্ণ অভ্যর্থনা, ঢোলের তালে পা মেলালেন নবদম্পতি


রমানন্দের প্রপৌত্রী সাক্ষী চোপড়া একজন জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া স্টার। ইনস্টাগ্রাম এবং টিকটকে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা আকাশছোঁয়া।  গায়িকা এবং গীতিকার হিসাবেই তিনি নিজের পরিচয় দিয়ে থাকেন৷ তবে তিনি তাঁর কণ্ঠ কিংবা গান লেখার জন্য বিখ্যাত হননি। তিনি বিখ্যাত হয়েছেন সম্পূর্ণ এক ভিন্ন কারণে৷ 

সাক্ষী


সাক্ষী বিখ্যাত হয়েছেন খোলামেলা পোশাকে৷ বি টাউনের বিতর্কিত তারকা উরফি জাভেদের মতো সাক্ষীও নিজেকে খোলামেলা পোশাকেই ধরা দিতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। শুনতে অবাক হবেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে তিনি উরফিকেও টেক্কা দেন৷ তাঁর পোশাকের দৈর্ঘ্য উরফির থেকেও কম! অনেক ছবিতেই সাক্ষী ধরা দিয়েছেন কেবলমাত্র অন্তর্বাস বা বিকিনিতে৷ কিছু ছবিতে আবার সেটুকুও উধাও! অনেক সময় আবার এমন সব পোশাকে দেখা দেন, যার পাতলা আচ্ছাদন ভেদ করে সহজেই চোখ চলে যায় অনাবৃত শরীরে।

সাক্ষীর সেই সব উষ্ণ, রোমহর্ষক ছবি চাক্ষুষ করতে প্রতিনিয়ত তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলিতে উঁকি দেন লক্ষ লক্ষ অনুরাগী। তাঁর সেই সব ছবিতে মন্তব্য করার মানুষও নেহাত কম নয়। নেটিজেনদের একাংশ তবে তাঁর পোশাক পরার ধরন নিয়ে কটূক্তি করতে ছাড়েন না। রমানন্দের নাতনি হয়ে কী ভাবে সাক্ষী এতটা খোলামেলা পোশাক পরেন, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন।

সাক্ষী


তবে নিন্দুকদের কটূক্তি সমালোচনায় থোরাই কেয়ার তাঁর৷ কোনও কিছুতেই দমতে রাজি নন রামানন্দের প্রপৌত্রী৷ উরফির মতোই তিনিও নিন্দুকদের জবাব দিতে পছন্দ করেন না। তবে মাঝেমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এসে নিজের মতামত ব্যক্ত করেন সাক্ষী৷ 


সাক্ষীর দাবি, মহিলাদের বক্ষযুগল উন্মুক্ত করে ঘুরে বেড়ানো কিংবা ছবি তোলায় কোনও অশালীনতা নেই। আগেকার দিনে মহিলারা শুধু শাড়ি দিয়েই নিজেদের বক্ষযুগল আড়াল করতেন। আলাদা করে ব্লাউজ বা কোনও বক্ষবন্ধনী ব্যবহার করতেন না৷ আরও আগে মহিলারা তো সেটুকুও করতেন না। ছেলেদের মতোই বক্ষ উন্মুক্ত রেখে ঘুরতেন। বস্ত্র দিয়ে মহিলাদের আপাদমস্তক ঢেকে রাখার প্রয়োজনীয়তা নেই বলেই মত তাঁর।


সাক্ষীর এই বোল্ড নেচারের জন্যই তাঁকে রিয়্যালিটি শো বিগ বসের ১৪ নম্বর সিজনে অংশগ্রহণ করার আর্জি জানানো হয়েছিল৷ কিন্তু তিনি নির্মাতাদের সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। সাক্ষী হলেন রমানন্দের নাতনি মীনাক্ষী সাগরের মেয়ে৷ তিনি রমানন্দের কনিষ্ঠ পুত্র তথা প্রযোজক মতি সাগরের কন্যা। মীনাক্ষী নিজেও এক জন চলচ্চিত্র প্রযোজক। 

সাক্ষীর শৈশব কেটেছে মুম্বই শহরে৷ তবে বর্তমানে তিনি আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেসের বাসিন্দা। সেখানে এক জন মডেল হিসাবে কাজ করেন। সঙ্গীত জগতেও প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছেন৷  পাশাপাশি একটি দুষ্টু ওয়েবসাইটেও মাঝেমধ্যে টাকার বিনিময়ে ছবি, ভিডিয়ো আপলোড করেন রামানন্দের প্রপৌত্রী সাক্ষী চোপড়া।

Around The Web

Trending News

You May like