মুম্বই: মুম্বইয়ের নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার বম্বে হাইকোর্টে গেলেন পর্নোগ্রাফি তৈরির অভিযোগে গ্রেফতার রাজ কুন্দ্রা৷ আজ আদালতে তোলা হলে বিচারক আরও চারদিন তাঁর পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়ে দেন৷ এর পরেই উচ্চ আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি৷
আরও পড়ুন- ‘অশ্লীল হতে পারে, যৌন মিলন না দেখালে পর্ন কী ভাবে? সাফাই রাজের আইনজীবীর
শুক্রবার দ্বিতীয় বার আদালতে তোলা হয় রাজ কুন্দ্রাকে৷ কিন্তু এদিনও খারিজ হয়ে যায় তাঁর জামিনের আর্জি৷ ২৭ জুলাই পর্যন্ত রাজের হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে৷ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ (সি), ২৯২ (অশ্লীল বিষয়বস্তু বিক্রি), ৪২০ (প্রতারণা) এবং আইটি আইনের ৬৭, ৬৭এ ধারায় রাজের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে৷ ২০ জুলাই রাজ কুন্দ্রাকে পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়৷ সংবিধানের ২২ ধারায় মেট্রোপলিটন ম্যাজেস্ট্রেটের সেই আদেশ বাতিল করার আর্জি জানানো হয়েছে৷ আজকের শুনানির পরেই রাজের আইনজীবী বলেন, তাঁর মক্কেলের গ্রেফতারি সম্পূর্ণ অবৈধ৷ তিনি উচ্চ আদালতে আবেদন জানাবেন৷
এদিকে রাজ ও শিল্পার জুহুর বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালায় মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখা৷ পর্ন কাণ্ডে রাজের ভূমিকা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত হদিশ পেতেই এই তল্লাশি৷ জেরার মুখে পড়তে পারেন শিল্পাও৷ যদিও এই কারবারে তাঁর জড়িত থাকার হদিশ এখনও পায়নি পুলিশ৷ মুম্বই পুলিশের অনুমান, পর্নোগ্রাফির ব্যবসা থেকে উপর্জনের টাকা অনলাইন বেটিংয়ের কাজে লাগাতেন রাজ৷ সেই জন্য রাজের ইয়েস ব্যাঙ্ক এবং ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অফ আফ্রিকার লেনদেন খতিয়ে দেখা হবে৷
আরও পড়ুন- রাজ কুন্দ্রার পর্নোগ্রাফি ব্যবসায় শিল্পার ভূমিকা কী? উত্তর খুঁজছে মুম্বই পুলিশ
চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে মুম্বই পুলিশের কাছে রাজ কুন্দ্রার নামে অভিযোগ জমা পড়েছিল। রাজ পর্নোগ্রাফি তৈরি করে তা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়ে বিশাল ব্যবসা ফেঁদেছেন বলে অভিযোগ করা হয়৷ তার ভিত্তিতেই সোমবার রাজকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখা৷ জানা গিয়েছে ১৮ মাস আগে লন্ডনে বসবাসকারী ভগ্নিপতি প্রদীপ বক্সির সঙ্গে মিলে এই ব্যবসা শুরু করেছিলেন রাজ৷ গত বছর লকডাউনের পর তাঁর ব্যবসার রমরমা বেড়ে যায়৷ দিনে ৭-৮ লক্ষ টাকা রোজগার করতে শুরু করেন৷ কিন্তু রমরমা বাড়তেই ‘হটশট’কে নিষিদ্ধ করে গুগল প্লে স্টোর৷