মুম্বই: যমজ সন্তানের মা হলেন প্রীতি জিন্টা৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় খুশির খবর নিজেই শেয়ার করলেন অভিনেত্রী৷ দুই সন্তানের নামও প্রকাশ করেছেন তিনি৷
আরও পড়ুন- ঝুঁকতেই স্পষ্ট বক্ষ বিভাজিকা, উষ্ণতা ছড়িয়েও ঠোঁট নিয়ে ট্রোলড নুসরত
ইনস্টাগ্রামে স্বামীর সঙ্গে ছবি শেয়ার করে খুশির খবরটি জানিয়েছেন প্রীতি৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘আমাদের যমজ সন্তান জয় জিন্টা গুডএনাফ এবং গিয়া জিন্টা গুডএনাফকে স্বাগত জানাই৷’’ প্রীতি আরও লেখেন, ‘‘আমি সকলের সঙ্গে একটা অসাধারণ খবর ভাগ করে নিতে চাই। আমাদের যমজ সন্তান জয় এবং গিয়াকে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা অত্যন্ত খুশি। আমাদের জীবনের একটা নতুন পর্বের সূচনায় আমরা উত্তেজিত। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, আমাদের সরোগেট সকলকে অনেক ধন্যবাদ।’
২০১৬ সালে জেন গুডএনাফকে আই ডু বলেন প্রীতি৷ বিয়ের পর থেকেই প্রীতি লস অ্যাঞ্জেলসের বাসিন্দা৷ প্রীতি ও জেন বিভিন্ন সময় তাঁদের ঘুরতে যাওয়ার ছবি শেয়ার করে থাকেন৷ ভক্তদের জন্য রোমান্টিক ছবিও শেয়ার করেন৷ এক কথায় তাঁরা হ্যাপি কাপল৷ স্বামী জেনের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত হলেও অতীতে প্রীতির জীবনে অনেকেই এসেছিলেন৷ অনেক বিতর্কও জড়িয়েছে তাঁর নামের সঙ্গে৷
বলিউডের ডিম্পল গার্লের সঙ্গে নেস ওয়াদিয়ার সম্পর্ক সকলেরই জানা৷ তাঁদের সম্পর্ক ভাঙলেও পঞ্জাব কিংস (আগে ছিল কিংস ইলেভেন পঞ্জাব)-এর মালিকানা এখনও দু’জনেরই। ওয়াদিয়া গ্রুপের উত্তরাধিকার নেসের সঙ্গে দীর্ঘ দিন সম্পর্কে ছিলেন প্রীতি৷ বম্বে ডায়িং, বম্বে বর্মণ ট্রেডিং, ব্রিটানিয়া, গো এয়ারের মতো সংস্থা রয়েছে শিল্পপতি নাসলি ওয়াদিয়ার সন্তানের হাতে৷ তিক্ততার মধ্যে দিয়ে সেই সম্পর্ক শেষ হয়৷ সলমন খানের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল প্রীতির৷
সম্পর্ক নিয়ে বিতর্কের পাশাপাশি নানা সমস্যাতেও জড়িয়ে পড়েছিলন প্রীতি৷ প্রীতির প্রযোজনায় ‘ইসক ইন প্যারিস’ ছবিতে ডায়লগ লিখেছিলেন আব্বাস। অভিযোগ, পারিশ্রমিক হিসাবে আব্বাসকে দেওয়া প্রীতির ১৮ লাখ ৯০ হাজার টাকার চেক বাউন্স করে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রীতির বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। পরিচালক কমল আমরোহি বা প্রযোজক ভরত শাহের সঙ্গে ছোটা শাকিলের যোগ নিয়ে মামলায় জড়িয়েছ তাঁর৷ কখনও আবার তাঁর মতো দেখতে পর্ন স্টারের এমএমএস ভাইরাল হয়ে যাওয়া৷ বিতর্ক পিছু ছাড়েনি প্রীতির৷
পরিচালক শেখর কাপুরের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা এতটাই বেড়ে গিয়ছিল যে শেখরের স্ত্রী সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তি বিবাহবিচ্ছেদের জন্য প্রীতিকে দায়ী করেছিলেন। যদিও প্রীতি তাতে পাত্তা না দিয়ে বলেছিলেন, সুচিত্রার মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন।
তেমনই মৃত্যুকেও খুব কাছ থেকে দেখেছেন অভিনেত্রী৷ ২০০৪-এ কলোম্বোতে শুটিং করার সময় আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। মৃত্যু হয় অনেকের৷ অল্পের রক্ষা পান অভিনেত্রী। কয়েক বছর পর তাইল্যান্ডে ছুটি কাটাতে গিয়ে সুনামির মুখে পড়েন। ভাগ্য সেবারও সাথ দেয়৷ রক্ষা পান প্রীতি৷
অভিনেত্রীর জীবন সংগ্রামও কুর্নিশ করার মতো৷ সিমলার রাজপুত পরিবারের মেয়ে প্রীতির বাবা ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্য। মাত্র ১৩ বছর বয়সে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় বাবা-মাকে দু’জনকেই হারান তিনি৷ তার পর থেকেই শুরু হয়েছিল প্রীতির সংগ্রাম। পড়াশোনা শেষ হতেই বলিউডে সুযোগ পান৷ ১৯৯৭ সালে ‘দিল সে’ ছবি দিয়ে প্রীতির আত্মপ্রকাশ৷