ঢাকা: বাড়িতে বিদেশি মদ ও মাদক রাখার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বাংলাদেশের অভিনেত্রী পরীমণিকে৷ তাঁকে রাখা হয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অধীনস্থ বনানী থানার কারাগারে৷ কিন্তু লাস্যময়ী এই অভিনেত্রীকে জেরা করার নামে তাঁর সঙ্গে একান্তে ১৮ ঘণ্টা কাটিয়ে ফাঁপড়ে বাংলাদেশ গোয়েন্দা পুলিশের এডিসি গোলাম সাকলায়েন৷ এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তদন্তের দায়িত্ব থেকে সরানো হল তাঁকে৷
আরও পড়ুন- ‘মদ্যপান করা বা নিজের নগ্ন ছবি তোলা অপরাধ নয়’, পরীমণির গ্রেফতারে ক্ষুব্ধ তসলিমা
ব্যবসায়ী নাসিরুদ্দিনের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা মামলার তদন্তের সময়েই অভিনেত্রী পরিমণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল অফিসারের৷ বাংলাদেশ ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (ব়্যাব)-এর হাতে পরীমণি গ্রেফতার হওয়ার পরেই গোলাম সাকলায়েনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়৷ এমনকী তাঁদের নিয়ে একটি সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ্যে চলে আসে৷ এর পরেই তাঁদের অন্তরঙ্গতা নিয়ে চর্চা শুরু হয়৷
কী দেখা গিয়েছে ওই সিসিটিভি ফুটেজে? ওই ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ১ আগস্ট সকাল ৮ টা ১৫ নাগাদ রাজাবাগ পুলিশ অফিসার্স কলোনির মধুমতি ভবনের সামনে একটি সাদা গাড়ি এসে থামে। গাড়ি থেকে নেমে আসেন লাল টি-শার্ট পরা এক ব্যক্তি। এরপর কোলে কুকুর নিয়ে সাদা পোশাক পরে গাড়ি থেকে নামেন পরীমণি। রিসেপশন থেকে চাবি নিয়ে তাঁরা দু’জন লিফটে উঠে পড়েন৷ পরে তাঁদের গাড়ি থেকে ট্রলি ব্যাগ ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর রাত দেড়টার নাগাদ ফের ওই ভবনের সামনে এসে দাঁড়ায় পরীমণির গাড়ি৷ কিছুক্ষণ পর গাড়িতে ওঠেন তাঁরা৷ বেরিয়ে যাওয়ার সময় পরীমণির পরনে ছিল কালো রংয়ের পোশাক। অর্থাৎ ঘরে পোশাক বদলেছিলেন তিনি৷
আরও পড়ুন- তিনি ছবি করলে নায়িকা হবেন কে? জানিয়ে দিলেন মদন
এর পর পরীমণির গাড়ির চালক জানান, সকালে তিনি পরিমণীকে দিয়ে গিয়েছেন, আর রাতে নিতে এসেছেন৷ তিনি আরও জানান, অভিনেত্রীর বনানীর বাড়িতেও সাদা পোশাকেই যেতেন সাকলায়েন৷