ঢাকা: গত বুধবার অভিনেত্রী পরীমণির বাড়িতে হানা দিয়ে বিপুল পরিমাণে বিদেশি মদ ও কিছু মাদক উদ্ধার করেছিল বাংলাদেশের ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (ব়্যাব)৷ ৩ ঘণ্টা ধরে তাঁর বাড়িতে চল্লাশি চালানোর পর সন্ধেবেলা অভিনেত্রীকে আটক করা হয়৷ শুধু পরীমণিই নন, তাঁর বাড়ির কর্মী ও গাড়ির চালককেও আটক করে ব়্যাব৷ এই ঘটনায় তীব্র ক্ষুব্ধ প্রখ্যাত লেখিকে তসলিমা নাসরিন৷
আরও পড়ুন- পরিমণীর বাড়ি থেকে উদ্ধার বিদেশি মদ ও মাদক, ব়্যাবের আভিযানে আটক অভিনেত্রী
বুধবারই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে নিজের ক্ষোভ উগড়ে গিয়েছিলেন তসলিমা৷ প্রশ্ন তুলেছিলেন বাংলাদেশে মেয়েদের অবস্থান নিয়ে৷ বৃহস্পতিবার রাতে ফের মুখ খোলেন তিনি৷ পুলিশের কিছু বক্তব্যকেও তুলে ধরেন নেট মাধ্যমে৷ পুলিশের বয়ান অনুযায়ী পরিমণীর অপরাধের একটি তালিকাও তৈরি করেন তিনি৷ তসলিমা লেখেন, পরীমণির অপরাধ, ‘পিরোজপুর থেকে ঢাকায় এসে রাতারাতি পরীমণি সিনেমায় চান্স পেয়ে গিয়েছেন। তাঁর বাড়িতে বিদেশি মদের বোতল পাওয়া গিয়েছে। তাঁর বাড়িতে একটি মিনি বার আছে। পরীমণি মদ্যপান করেন এবং তিনি মদে আসক্ত। নজরুল ইসলাম নামের এক প্রযোজক, যিনি কিনা তাঁকে সিনেমায় নামতে সাহায্য করেছিলেন, মাঝে মধ্যে পরীমণির বাড়িতে আসেন, মদ্যপান করেন। ডিজে পার্টি হতো পরীমণির বাড়িতে। আইস-সহ মাদকদ্রব্য পাওয়া গিয়েছে (এগুলোর চেহারা অবশ্য দেখানো হয়নি)। মদ খাওয়ার বা সংগ্রহ করার লাইসেন্স আছে পরীমণির, তবে তার মেয়াদ পার হয়ে গিয়েছে, এখনও রিনিউ করেননি তিনি।’
আরও পড়ুন- উড়ছে পোশাক, আর একটু হলেই বেরিয়ে আসত গোপনাঙ্গ, মেরিলিন মনরো বেশে সামলালের শ্রীলেখা
তসলিমা আরও লেখেন, মদ খাওয়া, মদ রাখা, ঘরে মিনিবার থাকা কোনওটাই অপরাধ নয়৷ বাড়িতে বন্ধু আসা বা একসঙ্গে মদ্যপান করাও অপরাধ নয়৷ কারো সাহায্যে মডেলিং এ চান্স পাওয়া অপরাধ নয়। কোনও উত্তেজক বড়ি যদি সে নিজে খায় অপরাধ নয়। ন্যাংটো হয়ে ছবি তোলাও অপরাধ নয়। লাইসেন্স রিনিউ-এ দেরি হওয়াও তো অপরাধ নয়।পরীমণি নাকি একাধিক বিয়ে করেছে, সেটিও কোনও অপরাধ নয়।’’ ক্ষোভ উগড়েই তসলিমা লেখেন, পরিমণী গরিব ঘরের মেয়ে৷ পরিশ্রম করে ঢাকা ইন্ডাস্ট্রিতে জায়গা পাকা করেছেন৷ পুরুষরা দরিদ্র পরিবার থেকে পরিশ্রম করে উঠে এলে তাঁদের প্রশংসা করা হয়৷ আর মেয়েদের বেলায় প্রশ্ন ওঠে, ‘‘ ‘কী করে হল, নিশ্চয়ই শুয়েছে!’ তাঁর প্রশ্ন, ‘যদি শুয়েই থাকে, তাহলে কি জোর করে কারও ইচ্ছের বিরুদ্ধে শুয়েছে? ধর্ষণ করেছে কাউকে, পুরুষেরা যেমন দিন রাত ধর্ষণ করে মেয়েদের, সেরকম কোনও ধর্ষণ?’