#MeToo আন্দোলনের জন্য দায়ী কর্মরতা মহিলারাই, ‘শক্তিমানে’র মন্তব্যে শোরগোল নেটপাড়ায়

#MeToo আন্দোলনের জন্য দায়ী কর্মরতা মহিলারাই, ‘শক্তিমানে’র মন্তব্যে শোরগোল নেটপাড়ায়

মুম্বই:  #MeToo নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে ফাঁপড়ে মুকেশ খান্না৷ মহাভারতে ভীষ্ম পিতামা কিংবা শক্তিমান, টেলি পর্দায় ঝড় তোলা মুকেশ খান্নার মুখে লিঙ্গ বৈষম্যের কথা শুনে শোরগোল শুরু হয়েছে নেটপাড়ায়৷ এদিন বিতর্ক উস্কে শক্তিমান বলেন, #MeToo-র জন্য দায়ী কর্মরতা মহিলারা৷ তাঁর কথায়,  #MeToo আন্দোলন শুরু হয়েছিল, কারণ মহিলারা নিজেকে পুরুষের সমান ভাবা শুরু করেছিল৷ 

আরও পড়ুন- করনি সেনার বিক্ষোভের জের, নাম পালটে গেল ‘লক্ষ্মী বম্ব’-এর

এখানেই থেমে থাকেননি মুকেশ খান্না৷ তিনি বলেন, ” আমাকে ক্ষমা করবেব৷ আমি মাঝে মধ্যে কথা বলে ফেলি৷ আমার মনে হয় মহিলাদের আসল কাজ হল ঘর সামলানো৷  MeToo -র সমস্যা কখন থেকে শুরু হয়েছিল জানেন, যখন মহিলারা কাজ করতে শুরু করেছিলেন। আজ মহিলারা পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কথা বলা বলছে”। তিনি আরও বলেন, ‘‘পুরুষ পুরষই হয় আর নারীরা নারী৷’’ প্রিয় অভিনেতার এহেন মন্তব্যে বেজায় চটেছেন নেটিজেনরা৷ আজকের দিনে দাঁড়িয়ে মানুষ যখন নারী পুরুষের সমান অধিকারের কথা বলছে, তখন সেখানে দাঁড়িয়ে মুকেশ খান্নার বক্তব্য, নারী পুরুষ কখনোই সমান নয়৷ একজন তারকার মুখে এই ধরনের কথা শুনে প্রায় সকলেই হতবাক৷ 

প্রসঙ্গত, বলিউড অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত প্রথম সরাসরি অভিনেতা নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তোলেন৷ সেখান থেকেই শুরু MeToo মুভমেন্ট৷ যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন নানা৷ কিন্তু এর পর থেকে নিজেদের হেনস্থা হওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আনা শুরু করেন কর্মরত মহিলারা৷ এদিন মুকেশ খান্নার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরই তাঁর সমালোচনায় সরব হন নেটিজেনরা৷ 

আরও পড়ুন- চোখ খুলছেন, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন সৌমিত্র

এক ব্যক্তি লেখেন, ‘‘ইনি একজন অসুস্থ মানুষ৷ ওনার কথায়, মহিলারা যদি কাজের জন্য বাইরে পা রাখেন তাহলে পুরুষরা তাঁদের উপর যৌন নির্যাতন করতে পারেন৷ মহিলারা যদি সুরক্ষা চান তবে তাঁদের বাড়িতেই থাকা উচিত। আপনার লজ্জা হওয়া উচিত।’ আবার এক জন লিখেছেন, ‘‘ছোট থেকে শক্তিমান দেখে অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট হেয়ে গিয়েছে৷ এই বিষয়টি ভীষণই বেদনাদায়ক৷’’  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *